বিজেপিকে রুখতে শ্রমিকদের গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে মালদহ জেলা জুড়ে শ্রমিক কনভেনশন শুরু করেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সেই কনভেনশনের বিষয়বস্তু ‘সাম্প্রদায়িকতা বনাম বাংলার উন্নয়ন’। শুক্রবার কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি সুকান্ত মঞ্চে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জেলার সমস্ত ব্লকেই পরপর এরকম কনভেনশন করা হবে বলে সংগঠন সূত্রে খবর।
২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বিজেপি। জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের মধ্যে একটি আসনও তারা পায়নি। দু-একটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। হবিবপুর ও পুরাতন মালদহে কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত তারা দখল করলেও পরে সেগুলো দখল করে তৃণমূল। কিন্তু ২০১৩-তে পঞ্চায়েতে বিজেপি মালদহে দাগ না কাটলেও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জেলার দু’টি আসনে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। ২০১৬-র বিধানসভার বৈষ্ণবনগর আসনে বিেজপি প্রার্থী জয়ীও হয়ে যায়।
এই অবস্থায় বিজেপিকে খাটো করে দেখা হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন সংগঠনের নেতাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িকতার ‘তাস’ ব্যবহার করে গত পাঁচ বছরে মালদহ জেলায় বিজেপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে রুখে দেওয়াটাই সংগঠন তথা দলের কাছে চ্যালেঞ্জের।
জেলা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মালদহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সার্বিকউন্নয়ন হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সেই উন্নয়নকে ধামাচাপা দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়াতে চাইছে। তিনি জানান, এমন হওয়া আটকাতেই বাসিন্দা ও জেলার শ্রমিকদের কাছে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হচ্ছে। পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতলে মালদহে আরও উন্নয়নের জোয়ার বইবে এমন বার্তা দেওয়াই লক্ষ্য তাদের।
এ দিকে কনভেনশনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির মালদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘চারিদিকে বিজেপির জয়জয়কার দেখে তৃণমূল ভীত হয়ে পড়েছে। তাই কনভেনশন করে উন্নয়নের ঢোল পেটাতে হচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘২২টি রাজ্যে বিজেপি সরকার চলছে। তৃণমূল মাত্র একটিতে। ফলে তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক না কেন পঞ্চায়েতে এই জেলায় ভালো ফল করবে বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy