গাঁধীগিরি করে যথেষ্ট ফল মেলেনি। তাই লাঠির বাড়ি।
কেউ খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করতে বসলেই হামলে পড়বে নজরদারি কমিটি। জরিমানা হবে ৫০১ টাকা। গ্রাম নির্মল রাখতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেখলিগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। গ্রামের পঞ্চায়েত-প্রধানদের সঙ্গে পর পর দু’দিন বৈঠক করে ওই ব্যাপারে সহমত হওয়ার পরেই নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত হয়। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে কোনওরকম সুবিধে না পান, সে ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। তাতে একশো দিনের কাজের সুযোগ সহ কোনওরকম শংসাপত্র পাবেন না অভিযুক্ত। মেখলিগঞ্জের বিডিও বীরূপাক্ষ মিত্র বলেন, “অনেক চেষ্টার পরে ব্লক নির্মল করা সম্ভব হয়েছে। আগের পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবে ফিরে না আসে, সে জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কোচবিহার জেলাকে নির্মল করতে চেষ্টার খামতি রাখেনি প্রশাসন। নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করা হয়। মেখলিগঞ্জ ব্লকের বেশিরভাগ এলাকায় লড়াইটা ছিল আরও কঠিন। বিডিও শুরুতে ভোর রাতে উঠে গোলাপ, জুঁই ফুল হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। কোথাও কাউকে শৌচকর্ম করতে দেখলেই হাতে ফুল ধরিয়ে দিতেন। পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাঁচা শৌচাগার নষ্ট করে দেওয়া হয়। বর্তমানে অধিকাংশ বাড়িতেই শৌচাগার তৈরি হয়েছে। যাদের বাড়িতে শৌচাগার নেই, তাঁরা প্রতিবেশীর শৌচাগার আপাতত ব্যবহার করছেন। যাতে কেউই আবার খোলা আকাশের নীচে না যান, সে জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রাম সংসদে টানা প্রচার চালানো হবে। শৌচাগার না থাকলে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আপত্তি তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy