পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ নবনির্মিত কলেজ ভবন তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে তাদের স্থানীয় স্কুলঘরের ছোট্ট পরিসরে ক্লাস করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছর নতুন ভবন চালু হবে আশা করে সাতটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করে ছাত্রভর্তি নেওয়া হয়েছিল। তবে কুমারগঞ্জ হাইস্কুলের একাংশ ক্লাস ঘরে বসেই পঠনপাঠন চলছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলেজ ভবনের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ায় কুমারগঞ্জ হাইস্কুলে আপাতত কাজকর্ম চলছে। সামনের নতুন বছর থেকে নতুন কলেজ ভবনে পঠনপাঠন শুরু করা যাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাপ্রকাশ করেছেন।
গত ২০১২ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকে এ জেলার নবম কলেজটির নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই ঢিমেতালে ভবন নির্মাণের কাজ চলার অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের চাপে ২০১৬ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অস্থায়ী ভাবে কুমারগঞ্জ হাইস্কুলে ৩৮ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে কুমারগঞ্জ কলেজের পথচলা শুরু হয়। কলেজ সূত্রের খবর, চলতি পাঠ্যবর্ষে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত ও এডুকেশন এই ৭টি বিষয় নিয়ে অনার্স কোর্স চালু করে ২০৫টি আসন পায় কলেজ।
ভবন তৈরির বরাত পায় সরকার অধিগৃহীত ঠিকাদার সংস্থা স্যাক্সবি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কাজে অনিয়ম ও ঢিলেমির অভিযোগে অসন্তুষ্ট মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ চলতি বছরের জুনে নতুন সংস্থাকে নিয়োগ করেন। প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা এদিন বলেন, নতুন করে আরও এক কোটি টাকা বরাদ্দ করে কলেজ ভবনের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। নতুন বছরের শুরুতে কলেজ ভবন পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy