বন্ধ: রথবাড়ির রাস্তায় ফিরে এল পরিচিত দৃশ্য। নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদের যানজট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মালদহ সফরের সময় যানজট মুক্ত করা হয়েছিল জাতীয় সড়ক থেকে শহর সর্বত্রই। তবে মুখ্যমন্ত্রী মালদহ থেকে ফিরতেই যানজটের চেনা ছবি দেখা গেল মালদহে। ফের জাতীয় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ লেনগুলো দখল করে আনাজ, ফল, ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন একদল ব্যবসায়ী। আর তাঁদের কাছ থেকে কুপন দিয়ে তোলা আদায় করছে পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রী মালদহ থেকে ফিরতেই যানজট হতেই পুরসভা ও প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন শহরবাসী।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা কাউন্সিলর (কংগ্রেস) নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, “মালদহ শহর যানজট নগরীতে পরিণত হয়ে উঠেছে। পুরসভা, প্রশাসন কেউ যানজট মেটাতে তৎপর নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক থেকে বাঁচতে তাঁকে দেখানোর জন্য যানজট মেটানো হয়েছে।” তিনি ফিরতেই যানজটের চেনা দৃশ্য ফুটে উঠেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও যানজট মেটাতে উদ্যোগ, পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পুরসভা ও
প্রশাসনের কর্তারা।
ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি। রথবাড়ি এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের চার লেনের মধ্যে দু’লেন আগেই ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গিয়েছে। রাস্তার উপরেই ফল, আনাজের পসরা সাজিয়ে বসছেন একাংশ ব্যবসায়ী। দৈনিক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই রাস্তা আটকে চলে বিকিকিনি। তবে গত, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত শহরের রথবাড়ি ভোল বদলে গিয়েছিল। জাতীয় সড়কের দু’ধারে ছিল না কোনও অস্থায়ী দোকান।
এমনকী, জাতীয় সড়কের উপরে গড়ে ওঠা বাস, ম্যাক্সি ট্যাক্সি, অটো সহ একাধিক যাত্রাবাহী গাড়ির অস্থায়ী স্ট্যান্ডও উধাও হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া যত্রতত্র জাতীয় সড়কে গাড়ি ঘোরানোয় বন্ধ ছিল। জাতীয় সড়কের মতো শহরেও রাস্তাতেও যানজট ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে বহস্পতিবার থেকে যানজটের সেই চেনা দৃশ্য মালদহে।
কেন ফিরে এল এমন পরিস্থিতি?
মালদহ সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মুর্শিদাবাদে ছিলেন তিনি। সেখানে মুর্শিদাবাদের যানজট নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। মুর্শিদাবাদের মতোই যানজট মালদহ শহরেও রোজকার ঘটনা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর রোষ থেকে বাঁচতে পুলিশ, প্রশাসন ও পুরসভা কয়েক দিনের জন্য যানজট মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিল বলে দাবি করেন শহরবাসী।
এমনকী, প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় প্রশাসন যানজট মুক্ত করতে সক্ষম হলেও সারা বছর কেন ব্যর্থ। এক স্কুল শিক্ষক বলেন, “পুলিশ প্রশাসন হেভিওয়েটদের সফরের সময় বাড়তি নজরদারি চালায়। আর বাকি সময় ঢিলে ঢালা নজরদারিতে যানজটের জট ছাড়াতে ব্যর্থ হন তাঁরা।” পুরসভার পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, “জাতীয় সড়কের ধারে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। খুব শ্রীঘই সেই ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” সারাবছরই যানজট মুক্ত রাখতে নজরদারি চালানো হয় বলে দাবি করেছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy