Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু, বাড়ল চিন্তা

নার্সিংহোমের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক ইন্দ্রনাথবাবুও সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। তাই সব সময় নার্সিংহোমে আসতে পারেন না।

শুক্লা ধর

শুক্লা ধর

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৪১
Share: Save:

ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। মৃতের নাম শুক্লা ধর (৪৪)। বাড়ি সুকান্তপল্লি এলাকায়। বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে মারা যান তিনি। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার।

তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল শুক্লাদেবীকে। এনএসওয়ান পরীক্ষায় ড়েঙ্গির জীবাণু মেলায় ওই দিন রাত আটটা নাগাদ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। প্লেটলেট ৪২ হাজারে নেমে গিয়েছিল। চিকিৎসক ইন্দ্রনাথ দাসের অধীনে ভর্তি হলেও বুধবার বেলা ১০ টা পর্যন্ত তিনি দেখতে আসেননি বলে অভিযোগ। তাঁর স্বামী পীযূষবাবুর অভিযোগ, ‘‘কর্মীরা জানিয়েছেন রাতে চিকিৎসক ফোনে তাঁদের যেমন বলেছেন সেই ভাবেই তারা রোগিণীকে ইঞ্জেকশন ও ওষুধ দিয়েছেন।’’

নার্সিংহোমের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক ইন্দ্রনাথবাবুও সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। তাই সব সময় নার্সিংহোমে আসতে পারেন না। ফোনে প্রয়োজন মতো নির্দেশ দেন। চিকিৎসক বলেন, ‘‘শুক্লাদেবী ডেঙ্গির শক সিনড্রমে আক্রান্ত হন। ফোনে আরএমওকে বলে দিয়েছিলাম। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ এ দিন সকালে রোগীর পরিস্থিতি দেখে তিনি আইসিইউ’তে পাঠান। রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে গেলে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের চিকিৎসা নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বাইরের এক পরিচিত চিকিৎসককে আনার ব্যবস্থা করেন। তিনি এসে শুক্লাদেবী মারা গিয়েছেন বলে জানান। এরপরেই ৩৭ হাজার টাকা ‘বিল’ হয়েছে বলে দাবি করেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এক রাতে এত টাকা বিল নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মৃতদেহ আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। পরে হইচই হওয়ায় মৃতদেহ ছাড়া হয়।

এ দিন শুক্লাদেবী মারা যাওয়ায় শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৩ জন। উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। এ দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫ সদস্যের একটি দল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে যায়। এক-দুই দিনের মধ্যেই তারা রিপোর্ট দেবেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘রিপোর্টে ডেঙ্গি ছাড়া বেশিরভাগ ভাইরাল ফিভার বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণ তিন-চার দিনের মধ্যেই এ ধরনের রোগীরা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Malaria Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE