Advertisement
১০ মে ২০২৪
বিষ্ণুপুরে কর্মহীন ৪০০ শ্রমিক

পুজোর মুখে বন্ধ বিড়ি কারখানা

পুজোর মুখে আচমকা বিষ্ণুপুরের একটি বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতান্তরে পড়েছেন অন্তত শ’চারেক শ্রমিক। দ্রুত কারখানা খোলার দাবিতে শুক্রবার বিষ্ণুপুর শহরে মিছিল করে প্রথমে থানা ও পরে শ্রম দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কর্মহীন শ্রমিকেরা।

কারখানার গেটে তালা।— নিজস্ব চিত্র।

কারখানার গেটে তালা।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০১:২২
Share: Save:

পুজোর মুখে আচমকা বিষ্ণুপুরের একটি বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতান্তরে পড়েছেন অন্তত শ’চারেক শ্রমিক। দ্রুত কারখানা খোলার দাবিতে শুক্রবার বিষ্ণুপুর শহরে মিছিল করে প্রথমে থানা ও পরে শ্রম দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কর্মহীন শ্রমিকেরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বিষ্ণুপুর থানা সংগ্রামী তৃণমূল কংগ্রেস বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন সহকারী শ্রম কমিশনারের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেয়।

এ দিনের আন্দোলনে সামিল বিড়ি শ্রমিকদের ক্ষোভ, বিনা নোটিসে কোনও কারণ ছাড়াই গত ৬ অক্টোবর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানা। ফলে, পুজোর মুখে খুবই সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। শ্রমিকদের পক্ষে লক্ষ্মীকান্ত কুণ্ডু, মনিকা মাজি, সুভাষ লোহার, পুতুল রুইদাসদের ক্ষোভ, “চার দিন হয়ে গেল কাজ বন্ধ। এখন বাড়িতে হাঁড়ি চড়ছে না। দ্রুত কারখানা না খুললে পুজোর দিনগুলোতেও সংসার অচল হয়ে যাবে। সে কারণেই রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’’ তৃণমূলের বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে এ দিনের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ওই সংগঠনের সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওই কারখানায় বিড়ি বাঁধার কাজের সঙ্গে শ’চারেক শ্রমিক যুক্ত। যাঁদের মধ্যে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা দেড়শোরও বেশি। কাজ বন্ধ হওয়ায় প্রতিটি পরিবারে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তাড়াতাড়ি সমস্যা না মিটলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’’

এ দিন দুপুরে বিষ্ণুপুর শহরের কাটানধার এলাকার ওই কারখানায় গিয়ে মালিক বংশী কুণ্ডুকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মেয়ে মঞ্জুলা সিংহ বলেন, “বাবা অসুস্থ। তিনি কথা বলতে পারবেন না। কারখানা বন্ধের কথা ঠিক নয়।’’ তাঁর অভিযোগ, কর্মীরা মদ খেয়ে মারামারি করে নিজেরাই কাজে আসছেন না। এখন বংশীবাবুর নামে মিথ্যা দোষ চাপানো হচ্ছে। এ কথা জেনে ওই কারখানার শ্রমিক অসীম দে, কমলা রুইদাসদের পাল্টা দাবি, “মালিক মিথ্যে অসুস্থতার ভান করছেন। তাঁর মেয়েও মদ খেয়ে মারামারির মিথ্যে গল্প বানাচ্ছেন। আমাদের একটাই দাবি, দ্রুত কারখানা খুলুক।’’ বিষ্ণুপুরের সহকারী শ্রম কমিশনার সুবাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিনা নোটিসে কারখানা বন্ধ রাখা বেআইনি। আমি ওই শ্রমিক সংগঠনের স্মারকলিপি পাওয়ার পরই কারখানার মালিককে দেখা করার জন্য চিঠি পাঠাচ্ছি। আশা করছি, একটা সমাধানসূত্র মিলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE