চলছে প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র
বসন্তোৎসবে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের যানজট এবং ভোগান্তি রুখতে, এ বার বিশেষ ব্যবস্থা নিল জেলা প্রশাসন ও বিশ্বভারতী।
যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ন্ত্রণ, একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা, ছিনতাই এবং মহিলা ও ছাত্রীদের হেনস্থা রুখতে থাকছে সাদা পোশাকে পুরুষ, মহিলা মোতয়েন-সহ সিসিটিভি এবং আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থাও। অন্যদিকে বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ এবং আশ্রমিকদের একাংশ পলাশ ব্যবহার করবে না বলেই ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বসন্ত উৎসবের জন্য যানজট এড়াতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হয়েছে আগের রাত থেকেই। জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে যাত্রীবাহী রুটের বাস এবং অন্যান্য যান চলাচলের ক্ষেত্রে থাকছে বেশ কিছু রাস্তার ওপর বিধি নিষেধ। শহরের মধ্য দিয়ে এবং শ্যামবাটি হয়ে কোনও মালবাহী গাড়ি চলাচল করবে না।
বোলপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসাপাড়া, নানুর, লাভপুরের বাস শ্রীনিকেতন রোড ধরে চৌরাস্তা হয়ে যাবে। ওই সমস্ত জায়গা থেকে ফেরার ক্ষেত্রেও প্রান্তিক লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে শ্যামবাটি সেচ ক্যানেল ধরে সোনাঝুরি হাট হয়ে বোলপুর সিউড়ি রাস্তায় উঠবে। লাভপুর নানুর, বাসাপাড়া থেকে আসা পর্যটক বোঝাই ছোট গাড়ি শ্যামবাটি সেচ সেতু পেরিয়ে রতন কুঠি এলাকায় পারকিং করবে। এবং ফিরে যাবে সেই একই পথে। টোটো গুলি একই পথে আসা যাওয়া করবে বলে ঠিক হয়েছে।
ঠিক হয়েছে, সুরুল মোড় থেকে বাসে করা আসা পর্যটকেরা কালিসায়র মোড় হয়ে বিনয় ভবন মাঠে আসবেন। সেখানেই তাঁদের পারকিং। এবং বালিপাড়ার ভিতর দিয়ে অরশ্রী মার্কেট হয়ে আশ্রম মাঠ পর্যন্ত আসা যাওয়া করতে থাকছে টোটোর ব্যবস্থাও।
সমস্ত রকমের ছোট গাড়ি জামবুনি বাসস্ট্যান্ড হয়ে লজ মোড় পেরিয়েই ডান দিকে ঘুরে মেলার মাঠে পারকিং করবে। শুধু মাত্র ভিআইপি, সরকারি পরিষেবার গাড়ি এবং বিশ্বভারতীর গাড়ি বিনয় ভবন, সাঁতার পুকুর হয়ে সঙ্গীতভবন থাকবে। এ বারও ভিড়ে অপ্রীতিকর পরিবেশ এড়াতে জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাদা পোশাকে পুরুষ ও মহিলা কর্মী মোতয়েন করা-সহ সিসিটিভি ব্যবস্থাও থাকছে। কোনও রকমের মুখোশ ব্যবহারে করা যাবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছে প্রশাসন। নজর থাকবে সিসিটিভিতে।
পলাশ ফুল ব্যবহারে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও কর্মী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা পলাশের ব্যবহার করবেন না। তবে পলাশ ফুল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে আশ্রমের একাধিক মহলে। কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, ‘‘উৎসবের দিন হলুদ পলাশ বাদ দিয়ে, গাছের নীচে পড়ে থাকা ফুলই ব্যবহার করতে পারা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy