অনুব্রত মণ্ডল।
রাত পোহালেই নলহাটির পুরভোট। তার আগে দাপিয়ে প্রচারে রইল শাসক-বিরোধীরা।
শেষলগ্নের প্রচারের সময়সীমা ছিল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তার আগে এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় প্রচার, মিছিল ঘুরল নলহাটির পথে পথে। শেষ লগ্নে ঝড় তুললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে কথা বলে তৈরি করলেন নতুন বিতর্কও।
এ দিন প্রচার সভায় অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, ‘‘পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীদের বলছি, তোমরা ছাড়া অন্য কেউ যেন ভোট না পায়। ভোটের দিন, রবিবার হাজির থাকব। যা করণীয়, সেই ভাবে ভোট করবেন।’’ অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছেন শাসকদলের নেতা? সদুত্তর এড়িয়ে অনুব্রতর জবাব, ‘‘বিরোধীরা তো মৃত। মানুষই বিরোধীদের আটকাবে।’’ পরে যোগ করেন, ‘‘কংগ্রেস, সিপিএম বা বিজেপি-র কোনও ভোট নেই। উন্নয়ন করেছে তৃণমূল। ভোট শুধু তাদেরই আছে। ভোটের দাবিদার শুধু তৃণমূল।’’
জেলা তৃণমূলের সভাপতি ইঙ্গিত দিয়ে যেটা ছে়ড়ে দিয়েছেন, সেটা ইতিমধ্যেই পড়ে নিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। জেলা বিজেপি-র সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের কথায়, ‘‘হুমকি, শাসানি তো ওরা প্রথম থেকেই দিচ্ছে। এখন ইঙ্গিতে জানিয়ে রাখা হল ভোটের দিন সন্ত্রাস হবে।’’ সাধ্যমতো তার প্রতিরোধ করা হবে, জানিয়ে রাখছেন বিজেপি-র এই নেতা। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন রামকৃষ্ণবাবু। সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতা রামচন্দ্র ডোমও মনে
করছেন ভোটের আগে দলের কর্মীদের তাতিয়ে রাখছেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘নলহাটির মানুষ সব দেখছেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব।’’
প্রচার, মিছিল করেছে বাম, কংগ্রেস, বিজেপিও। যৌথ প্রচার করতে দেখা গিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের দীপক চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেসের মিল্টন রশিদ এবং সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমকে। মিছিলে লোকও হয়েছিল ভালই। ভোটের ঠিক আগে ওই মিছিল দেখে খুশি নেতারাও। তাঁরা বলছেন, ‘‘ভোটের মতো ভোট হলে নলহাটিতে ভাল কিছুই অপেক্ষা করছে।’’
ভোটের নলহাটিতে ঢুকতে শুরু করেছে পুলিশও। রাস্তা সেজেছে পতাকা, ব্যানারে। দেওয়াল লিখন তো রয়েছেই। ভোটের ফল নিয়ে চর্চা চলছে অলিগলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy