কাগজে কলমে মেলা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু। কিন্তু বুধবার বিকালেই পাথরচাপুড়িতে দাতাবাবার মেলার সূচনা করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বাবার মাজার সংলগ্ন উদ্বোধন মঞ্চে ছিলেন জেলার আরও দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রনাথ সিংহ, এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, পুলিশসুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার, জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল গনি প্রমূখ। বুধবার বিকালে ফিরহাদ প্রথমেই দাতাবাবার মাজারে চাদর চড়ান। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ এই চাদর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মানুষের মঙ্গল কামনায় চাপালাম। ২০০৮ সাল থেকে এখানে আসি ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে। সেই সমস্যা মিটে যাওয়ার পরেও বারবার আসি।’’
প্রত্যেক বছর হজরত দাতা মেহেবুব শাহ ওয়ালি বা দাতাবাবা-র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে চৈত্র মাসে এই উরস মেলার আয়োজন করা হয়। এ বার তাঁর ১২৫তম প্রয়াণ দিবস। দাতাবাবা তাঁর সুফি চিন্তাভাবনার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর অদ্ভুত ক্ষমতার বিষয়ে বহু কিংবদন্তি ছড়িয়ে আছে। প্রত্যেক বছর এই সময় মেলায় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পড়শি জেলা, ভিন রাজ্য এমনকী বাংলাদেশ থেকেও পূন্যার্থীরা আসেন। সম্প্রীতির অপরূপ মিলন ক্ষেত্র এই মেলা।
এ বারও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে মাজার। মাজারের আশপাশের এলাকায় জমজামাট মেলা বসেছে। হরেক স্টল, নাগরদোলা-সহ হাজির নানা বিনোদন ও খাদ্যসামগ্রীর পসরা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে সরকারি ভাবে মেলা চলবে ২৯ তারিখ পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই পাথরচাপুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গাঠিত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে। কিন্তু কাজ এখনও অনেক বাকি।
মঞ্চ থেকে অনুব্রত জানান, মেলায় আগত ফকিরদের মেলার দিনগুলি এখানে এসে যাতে থাকতে পারেন তার জন্য একটি শেড বানিয়ে দেওয়া হবে। সে কাজের জন্য তিনি জেলাপরিষদের সভাতিপতিকে বলেন। জলকষ্ট দূর করার জন্য একটি ১০ কোটি টাকার প্রকল্প অমুমোদনের জন্য ফিরহাদ হাকিমের কাছে অনুরোধ করেন। মন্ত্রী জেলাশাসকের মধ্যমে প্রকল্প পাঠালে অনুমোদন করবেন কথা দেন।
জেলাশাসক জানান, এ বার মেলার বিশেষত্ব প্রশাসনের তরফে মেলা পরিচ্ছন্ন রাখা ও প্লাস্টিক মুক্ত করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
যেভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে আগামী দিনে মেলার আকর্ষণ আরোও বাড়বে। জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মেলায় গণ্ডগোল বা চুরি ছিনতাই রুখতে সব রকমের ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া পার্কিং জোন, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, বুথ, সাদা পোশাকের পুলিশও ও প্রচুর সংখ্যা সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy