প্রতিরোধ: হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত। বসে নেই পুরসভাও। দুবরাজপুরে। নিজস্ব চিত্র
চলছে প্রচার। জোর দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতায়। তবুও ডেঙ্গির দাপট অব্যহত দুবরাজপুর পুর এলাকায়। বুধবার পর্যন্ত শুধু দুবরাজপুরেই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০১। উদ্বেগের আরও কারণ পুর এলাকার ৭ নম্বর থেকে মশাবাহিত রোগ ছাড়াচ্ছে অন্য ওয়ার্ডগুলিতেও। বাড়ছে আতঙ্ক।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে ওয়ার্ডগুলিকে আরও ভাল করে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছাতে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিতে হবে। বিনামূল্য রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এমন নানা দাবি নিয়ে বুধবারই পুরপ্রধানের দ্বারস্থ হলেন এলাকার বেশ কিছু মানুষ। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘প্রতিদিনই দু’চার জন করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একমাত্র উপায় আরও বেশি সচেতনতা, আরও বেশি করে পরিচ্ছন্নতায় জোর দেওয়া। পুরসভাকেই এগিয়ে আসতে হবে।’’ পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে মানছেন সে কথা। তিনি বলছেন, ‘‘এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। চলছে প্রচার। ছড়ানো হচ্ছে মশানাশক রাসায়নিক। রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছাতে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়েছে গত মাসের ২৪ থেকেই। তবুও কিছুটা ঘটতি থাকছে। আমরা পরিকল্পনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।’’
বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা করানোর যে দাবি নিয়ে বাসিন্দারা পুরপ্রধানের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেটাকে উদ্বেগের বলে মানছে পুরসভাও। আদৌও ডেঙ্গি হয়েছে কিনা জ্বর হলে চিকিৎসক দেখালেই রক্ত পরীক্ষা করাতে বলছেন। বাইরের প্যাথোলজিক্যাল ল্যাব থেকে এনএস-১ পরীক্ষার জন্য ৭০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে সব সময় সেটা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। এই বিষয়টি ভাবার বলে জানাচ্ছেন পুরপ্রধান।
তিনি বলছেন, ‘‘দুবরাজপুরে কিছু ল্যাবে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। যেটা মোটেই মানবিক নয়। অনেক কম খরচেই রক্ত পরীক্ষা করানো সম্ভব। আমরা মৌখিক ভাবে কম টাকা নিতে অনুরোধ করেছি।’’ সিএমওএইচও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘বিষয়টি আমার কানেও এসেছে। কেন এত বেশি টাকা নেবে ল্যাব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy