বিকিকিনি: সিউড়ির ইদের বাজারে বিক্রি হচ্ছে সামাই। নিজস্ব চিত্র
ইদ একেবারে দোরগোড়ায়। আর ইদের দিন হরেক রকম রান্নার আয়োজন। সবাই চান আলাদা কিছু রাঁধতে। তবে শুধু আলাদা হলেই তো হবে না, হতে হবে সুস্বাদু ও চটপট তৈরি করা খাবার। ঘরে ঘরে এখনও তারই প্রস্তুতি।
ইদে সেমাই এর কদর একটু বেশি। বিশেষ করে লাচ্ছা সেমাই। চোখের পলকে তৈরি করা যায় বলে সকলের কাছেই খুব জনপ্রিয় লাচ্ছা সেমাই। প্যাকেটজাত এই খাবারটির রান্নার স্বাদ কমবেশি প্রায়ই একইরকম। কিন্তু রান্নায় চাই নতুনত্ব। সে জন্য বাজারেও খামতি নেই। জেলার রামপুরহাট, নলহাটি, সাঁইথিয়া, সিউড়ি, দুবরাজপুর, বোলপুর, নানুর— সর্বত্র অধিকাংশ ফলের দোকানগুলিতে এখন ফলের চেয়ে সেখানে জায়গা দখল করে নিয়েছে সেমাই, লাচ্ছা।
ধূলিয়ান, সিউড়ি, আসানসোল, বর্ধমানের লাচ্ছা সেমাই ৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার বড় কোম্পানির প্যাকেটজাত লাচ্ছা ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দামের রয়েছে। লাচ্ছার সঙ্গে অন্যান্য উপকরণও কিনছে জেলার মানুষ। তবে এ বারের ইদে লাচ্ছা সেমাই বিকিকিনির ক্ষেত্রে প্রায় সমস্ত জায়গাতেই নতুন প্যকেট বাজারে এসেছে। যে প্যাকেটে মিলছে লাড্ডু লাচ্ছা। ঘিয়ে ভাজা, দুধ মেশানো লাড্ডুর সাইজের লাচ্ছাগুলি এক একটির ওজন কুড়ি থেকে পঁচিশ গ্রাম। প্রতি প্যাকেটে কুড়ি থেকে পঁচিশটি লাড্ডু লাচ্ছা থাকছে। ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দামের ওই প্যাকেটগুলি দেখা গেল বিভিন্ন দোকানে কোথাও দড়ি দিয়ে টাঙানো আছে কোথাও বা সাধারণ সেমাই লাচ্ছার মতো বিক্রি হচ্ছে। রামপুরহাট হাটতলা ঢুকতে ফলের দোকানদার জাফর সেখ বলেন, ‘‘ইদের বাজারে এ বারে নতুন আইটেম লাড্ডু লাচ্ছার ভালোই বিক্রি হচ্ছে।’’
ফলবিক্রেতা রাহুল সেখ জানাল, কয়েক প্যাকেট লাড্ডু নিয়ে এসেছিলাম। সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রামপুরহাটের বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, ‘‘সহজ পাচ্য এবং চটজলদি রান্না হিসাবে লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি। তাই অনেকেই বিভিন্ন স্বাদের লাচ্ছা সেমাই রান্না করতে এবং খাওয়াতে ভালোবাসে। বাজারেও তাই মিলছে ভিন্ন স্বাদের লাচ্ছা।’’
রামপুরহাট থানার কাষ্টগড়া এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ সোহারাব বলেন, ‘‘লাড্ডু লাচ্ছার স্বাদ কেমন হবে জানি না। নতুন আইটেম তো তাই কিনলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy