ঘরের ভিতর থেকেই এক মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার ময়ূরেশ্বরের হাজিপুর শান্তিপাড়ার ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানায়, নিহত বধূর নাম নুরজাহান ওরফে নরু বিবি (৩৫)। বাড়ি শান্তিপাড়াতেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিচিত কেউ ওই মহিলাকে খুন করেছে। খুনের কিনারায় পুলিশ কুকুর আনার দাবিতে গ্রামবাসীরা এ দিন দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। সেই দাবি মেনে বেলা দেড়টা নাগাদ দুর্গাপুর থেকে আনা হয় পুলিশ কুকুর। কুকুরটি কিছু দূর এগিয়ে এক বাড়ির সামনে গিয়ে থেমে যায়। যাঁর বাড়িতে গিয়ে কুকুর থেমেছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আপাতত নিহতের এক মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার স্বামী নজু শেখ একটি খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বছর সাতেক ধরে বহরমপুর সংশোধনাগারে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন। নরু তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকেন রাজস্থানের আজমিরে। তাঁর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে হাজিপুরেই। শান্তিপাড়ার বাড়িতে একাই থাকতেন নরু বিবি। এ দিন সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন তাঁর শোওয়ার ঘরের দরজা হাট করে খোলা। মেঝেতে পড়ে রয়েছে নুরুর গলার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ডাবুক পঞ্চায়েতের সদস্যা মমতাজ বেগমের স্বামী রেজাউল আলম বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি ওই কাণ্ড। বিড়ি বেঁধে, ছাগল হাঁস মুরগি পালন করে সংসার চালাতেন উনি। কী কারণে যে তাঁকে খুন হতে হল, বলতে পারব না।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দিন কয়েক আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ বাবদ ওই বধূ হাজার তিরিশেক টাকা পেয়েছিলেন। ছাগল বিক্রি করে আরও কিছু টাকা জমিয়ে ছিলেন তিনি। ঠিক ছিল ওই টাকায় স্বামীর জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন। নুরুর বাড়ি থেকে এ দিন সেই টাকার হদিস মেলেনি। টাকা হাতানোর জন্যই এই খুন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy