Advertisement
১১ মে ২০২৪
ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশ

ক্ষতিপূরণ দিল ফোন নির্মাতা

দোকানদারের পরামর্শে রীতেশ মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার পুরুলিয়ার সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করেন। তাঁরাও একই কথা বলেন। কিছু দিন পরে সার্ভিস সেন্টার থেকে তাঁকে অন্য একটি ফোন দিতে চাওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ০৬:১০
Share: Save:

কেনার মাস খানেকের মধ্যেই খারাপ হয়ে যায় নতুন মোবাইল ফোন ক্যামেরা। দোকানদার এবং মোবাইল প্রস্ততকারক সংস্থাকে জানিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করলেন কাশীপুরের বাসিন্দা রীতেশ নারসারিয়া। মোবাইলের পুরো দাম এবং মামলার যাবতীয় খরচ ক্রেতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রীতেশ জানান, ২০১৬-র মার্চে এলাকার একটি দোকান থেকে মোবাইল ফোন কেনেন তিনি। মাস পার হতেই সেটি খারাপ হয়ে যায়। দোকানদার দাবি করেন, তাঁর করণীয় কিছু নেই। তিনি সংস্থার সার্ভিস সেন্টারে ফোনটি পাঠিয়ে দেবেন। রীতেশ দোকানে ফোন জমা রেখে চলে আসেন। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে শোনেন, যন্ত্রাংশ মিলছে না বলে সেটি সারাই করা যাচ্ছে না।

দোকানদারের পরামর্শে রীতেশ মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার পুরুলিয়ার সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করেন। তাঁরাও একই কথা বলেন। কিছু দিন পরে সার্ভিস সেন্টার থেকে তাঁকে অন্য একটি ফোন দিতে চাওয়া হয়। কিন্তু তার কোনও নথি দেওয়া হচ্ছিল না বলে রীতেশ সেটি নিতে অস্বীকার করেন। সংস্থার অফিসে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান তিনি।

যদিও তাতে কোনও সমাধান হয় না। বাধ্য হয়ে রীতেশ পুরুলিয়া ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন। সংস্থা এবং দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

ওই মামলায় রীতেশ নিজেই সওয়াল করেন। তিনি জানান, সব শুনে বিচারক অলকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতুরাজ দে-র বেঞ্চ ওই বিক্রেতাকে মোবাইল ফোনের পুরো দাম, মামলার খরচ বাবদ ৫০০টাকা এবং হয়রানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ হাজার টাকা তাঁকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এর জন্য এক মাসের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও টাকা না পাওয়ায় ফের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন রীতেশ। আদালত এক মাসের সুদ সমেত পুরো টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ওই বিক্রেতাকে। তার পরেই রীতেশ টাকা পেয়ে যান।

মোবাইল ফোন বিক্রেতা জগন্নাথ গ়ড়াই জানান, মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা তাঁকে টাকা দিয়ে দিয়েছে। তিনি ক্রেতাকে আদালতের নির্দেশ মতো সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন।

কী ভাবে ক্রেতারা এই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন?

পুরুলিয়া শহরে কেতিকা এলাকায় জগন্নাথ কিশোর কলেজের সামনে এই আদালত রয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার প্রোটেকশন কাউন্সিলের সদস্য আবু সুফিয়ান জানান, সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে নথিপত্রের প্রতিলিপি-সহ জমা দিতে হয়। মামলা গৃহীত হলে শুনানির তারিখ দেওয়া হয়। মামলাকারী নিজেই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে সওয়াল করতে পারেন। চাইলে উকিলও নিয়োগ করতে পারেন। তবে জিনিসপত্র কেনার দু’বছরের মধ্যে মামলা দায়ের করা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE