শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।—ফাইল চিত্র।
মানুষ রুখে দাঁড়ালে ভোট লুঠ রুখে দেওয়া যাবে। এর জন্য সাহস দরকার। নলহাটি পুরনির্বাচনের প্রচারে এসে রবিবার এ ভাবেই বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বাম ও গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ প্রার্থীদের সমর্থনে রবিবার নলহাটিতে নাগরিক কনভেনশনে অশোকবাবু ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক ডলি রায়। ছিলেন বামফ্রন্টের সাত ও কংগ্রেসের আট প্রার্থীও। সভায় তিনশোরও বেশি শ্রোতা ছিলেন।
অশোকবাবু অভিযোগ করেন, তিনি পুরমন্ত্রী থাকাকালীন স্থানীয় মানুষের চাহিদা মেনে নলহাটি পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা হয়। কিন্তু এত দিনেও নলহাটি শহরের রাস্তাঘাটের উন্নতি থেকে আন্ডারপাসের সমস্যা মেটেনি। এরপরেই তিনিই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মকে ‘কসমেটিক’ বা প্রসাধনিক উন্নয়ণ বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ রুখে দাঁড়িয়েই শিলিগুড়িতে ভোট লুঠ প্রতিরোধ করেছে। আপনাদেরও নিজের ভোট যাতে নিজে দেওয়া যায়, তা
নিশ্চিত করতে হবে। ভোট লুঠ হলে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভীরুদের কোনও ঠাঁই নেই।’’
ফরওয়ার্ড ব্লকের নেত্রী ডলি রায়, নেতা দীপক চট্টোপাধ্যায়ও ভোটাধিকার রক্ষা করার ব্যাপারে সচেতন করে দেন। ডলিদেবী বলেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) বলত ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। আমাদেরই এখন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার দিন এসেছে।’’’
অশোকবাবু রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘‘কেউ কেউ আবার তাঁদের বক্তব্যে রাষ্ট্রপুঞ্জে কন্যাশ্রী পুরস্কার পাওয়াকে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে তুলনা করছেন।’’
কনভেনশন শেষে নলহাটি পুরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দাবি-সহ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক বাতাবরণ বজায় রাখার দাবিতে মিছিল বের করেন বাম ও গণতান্ত্রিক জোট সমর্থকেরা। মিছিলে নেতৃত্বের পাশাপাশি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy