পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতে ব্লক ভিত্তিক সভা শুরু করে দিল তৃণমূল। রবিবার দুপুরে তালড্যাংরার বাজার এলাকায় আয়োজিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ, জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী, তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী-সহ অনেকে।
সমীরবাবু বলেন, “দলের বাঁকুড়া জেলা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখেই এই সভার আয়োজন। ব্লক ভিত্তিক সভা হলেও ১০ হাজারের বেশি মানুষ সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।”
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তালড্যাংরা ব্লকে অশান্তি দানা বেধেছে। মাসখানেক আগে বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকার তালড্যাংরা ব্লকের ঢ্যামনামারা এলাকার বাসিন্দা শ্যামবাবুর অনুগামী তৃণমূল কর্মী জান মহম্মদ মল্লিক খুন হন। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তুষারবাবুর গোষ্ঠীর দিকে। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটকে উপলক্ষ করে এই সভা ডাকা হলেও আদপে জনসভার আড়ালে পরোক্ষ ভাবে কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোখার বার্তা দেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এ দিন সভা মঞ্চে শ্যামবাবু ও তুষারবাবু দু’জনেই ছিলেন।
লোকসভা সাংসদ মানসবাবু বলেন, “মমতা ও অভিষেক এই দুই নেতানেত্রীর বাইরে আর কোনও নেতানেত্রীর নাম নেবেন না।’’ তৃণমূল নেতাদের একাংশের অভিমত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে দলে মমতা ও অভিষেক ছাড়া আর কোনও নেতানেত্রী নেই বলেই কর্মীদের বার্তা দিতে চেয়েছেন মানসবাবু।
এ দিনের সভা থেকে সদ্য দল ছেড়ে বেরিয়ে আসা মুকুল রায়কে সরাসরি কটাক্ষ করে সাংসদ সৌমিত্র খান বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন একটা গাছ, আর মুকুল কেবল একটা ঝরা পাতা মাত্র।” সরাসরি মুকুলের নাম না করে সমীরবাবু বলেন, “সাহস থাকলে মমতাকে চ্যালেঞ্জ করে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব জাহির করে দেখাক উনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy