Advertisement
১১ মে ২০২৪

জায়গা দেয়নি রেল, পড়ে জলের মেশিন

পানীয় জল পরিশ্রুত করার যন্ত্র এসে পড়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও রেলের কাছ থেকে সেই যন্ত্র বসানোর জন্য জায়গা না মেলায় যাত্রীদের স্বল্প মূল্যে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে পারছেন না আইআরসিটিসি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা পূর্বাঞ্চলের প্রথম স্বনির্ভর গোষ্ঠী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৬
Share: Save:

পানীয় জল পরিশ্রুত করার যন্ত্র এসে পড়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও রেলের কাছ থেকে সেই যন্ত্র বসানোর জন্য জায়গা না মেলায় যাত্রীদের স্বল্প মূল্যে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে পারছেন না আইআরসিটিসি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা পূর্বাঞ্চলের প্রথম স্বনির্ভর গোষ্ঠী।

ভারতীয় রেলের নিয়ম মেনে গত সেপ্টেম্বর মাসে পুরুলিয়ার ‘মনোরমা’ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রেলের যাত্রীদের খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পায়। জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প দফতরের আধিকারিক অমল আচার্য জানিয়েছেন, গত বাজেটে রেলমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, কিছু এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে রেল যাত্রীদের খাবার সরবরাহের কাজে লাগানো হবে। এরপরেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা এলাকারই একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আইআরসিটিসি-র শর্ত মেনে আদ্রা স্টেশনে যাত্রীদের খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পায়। যাত্রীদের অর্ডার অনুযায়ী এই গোষ্ঠীর সদস্যারা যাত্রীদের একেবারে বাঙালি খাবারই সরবরাহ করছেন।

এই গোষ্ঠীকে একটি বহুজাতিক সংস্থা পানীয় জল পরিশ্রুত করার যন্ত্র দিয়েছে। উদ্দেশ্য তাঁরা যাতে কম দামে পরিশ্রুত পানীয় জল যাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। সদস্যাদের কথা, এই যন্ত্রটি চালু করা গেলে বাজার চলতি নানা ব্র্যান্ডের থেকে কম দামে যাত্রীদের পানীয় জল দেওয়া যেত। কিন্তু সে জন্য স্টেশনেই যন্ত্রটি বসানোর দরকার। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘রেলের কাছে জমি চেয়ে বেশ কয়েক মাস হল দরবার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সাড়া মেলেনি।’’ সদস্যারা জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁরা পুরুলিয়ার সাংসদেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। অমলবাবুর কথায়, ‘‘জলের ওই এটিএম থেকে প্রায় দু’টাকায় এক লিটার জল দেওয়া যেত যাত্রীদের। কিন্তু জায়গা না পেলে কিছুই করার নেই।’’

পুরুলিয়ার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো বলেন, ‘‘এই গোষ্ঠীর সদস্যারা যাতে আদ্রা স্টেশনে এই যন্ত্র বসানোর সুযোগ পান, তার অনুরোধ জানিয়ে রেলকে চিঠিও লিখেছি। আশা করছি অনুমতি মিলবে।’’ আদ্রার ডিআরএম অনশূল গুপ্ত বলেন, ‘‘ওই গোষ্ঠীর আবেদনে যাতে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায়, সে জন্য আমরাও চেষ্টা করছি। আমিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Railway Water Machine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE