Advertisement
১১ মে ২০২৪

কনস্টেবলের ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যু ঘিরে ধন্দ

পুলিশের এক কনস্টেবলের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। সোমবার বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থানার তুতবাগান এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সোমনাথ কোটাল (৪০) বাঁকুড়ার সারেঙ্গার থানাগড়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুরের সিপিএম বিধায়ক দিবাকর হাঁসদার দেহরক্ষী হিসেবে তিনি ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই সেখান থেকে তাঁকে ঝাড়গ্রামের এমারজেন্সি ফোর্সে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তালড্যাংরা ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৯
Share: Save:

পুলিশের এক কনস্টেবলের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। সোমবার বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থানার তুতবাগান এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সোমনাথ কোটাল (৪০) বাঁকুড়ার সারেঙ্গার থানাগড়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুরের সিপিএম বিধায়ক দিবাকর হাঁসদার দেহরক্ষী হিসেবে তিনি ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই সেখান থেকে তাঁকে ঝাড়গ্রামের এমারজেন্সি ফোর্সে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

যদিও সোমনাথবাবুর পরিবারের তরফে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। মৃতের দাদা সুশান্ত কোটাল জানান, সোমনাথবাবুর স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি সারেঙ্গায় নিজের বাড়িতে এসেছিলেন। তার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর দেখা হয়নি। তবে রোজ ফোনে কথা হত। সুশান্তবাবুর দাবি, “রবিবার রাত আটটা নাগাদ সোমনাথ তার স্ত্রীকে ফোন করেছিল। ঝাড়গ্রামেই সে আছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু, সোমবার সকাল আটটা নাগাদ সারেঙ্গা থানার পুলিশ আমাদের ফোন করে জানায়, তালড্যাংরার জঙ্গল থেকে ভাইয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে।” বিনপুর থানায় কর্মরত থাকলেও তিনি কখন ও কী ভাবে সারেঙ্গায় পৌঁছলেন, তা ধন্দে সোমনাথবাবুর পরিবার।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই কনস্টেবল আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু মৃতের দাদা জানিয়েছেন, সোমনাথবাবুর উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট। যে কাজুবাদাম গাছটিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই গাছটির উচ্চতা পাঁচ ফুটের মতো। মৃতের পা মাটিতে ঠেকেছিল। পায়ে কোনও জুতোও ছিল না। ফলে, এটা নিছক আত্মহত্যার ঘটনা কি না, তা নিয়ে তাঁদের মনে সন্দেহ আছে।

সুশান্তবাবুর কথায়, “আমাদের পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল না। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। তার পরেও কেন ভাই আত্মহননের পথ বেছে নেবে, বুঝতে পারছি না। পুরো ঘটনাই আমাদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করুক।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ঝাড়গ্রাম থেকে বাসে চেপে এ দিন ভোরের দিকে তুতবাগানে গিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। তার পর জঙ্গলে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পকেট থেকে মানিব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তাঁর ভোটার কার্ড দেখে পরিচয় জানা যায়। তবে, কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE