ওন্দার শালিহান গ্রামের স্কুল ছাত্রী হত্যাকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছে তার এক কাকা। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ছাত্রীর আরও এক কাকা ও কাকিমা-সহ এক স্কুল পড়ুয়াকে শবিবার গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার তাদের বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে ধৃত কাকার তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। কাকিমার ১৩ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই ছাত্রটি একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সে নাবালক হওয়ায় তাকে পাঁচ দিনের জন্য একটি হোমে পাঠানো হয়।
দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে বৃহস্পতিবার শালিহান গ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় গ্রাম থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরের দ্বারকেশ্বর নদের চরে। ছাত্রীটির পরনের নাইটি তার গলায় জড়ানো ছিল। তা দেখে ছাত্রীটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। খুনের আগে ধর্ষণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়নি পুলিশ। যদিও দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতেই ছাত্রীর এক খুড়তুতো কাকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শনিবার আরও তিন জনকে এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানাচ্ছে, এই খুনের পিছনে প্রেমঘটিত বিষয়ে কিছু সূত্র তারা পেয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক স্কুলের বন্ধু ও কিছু আত্মীয় ছাত্রীটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে বলে পুলিশের দাবি। যদিও এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, রবিবার সকালে মৃতার বাড়িতে যান জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। মৃতার পরিবার তাঁর কাছে সুবিচারের দাবি জানান। নিহতের বাবা সভাধিপতিকে জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের যথযথ শাস্তি দেওয়া হোক। সভাধিপতি বলেন, “এটা একটা অমানবিক ঘটনা। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই এই হত্যাকাণ্ডের দোষীরা শাস্তি পাবে।” ওই পরিবারের ভাঙা ঘরবাড়ি দেখে অধিকার প্রকল্পে তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসও সভাধিপতি দিয়ে এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy