হিংলোর কজওয়ে দিয়ে বইছে জল। চলছে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার। —নিজস্ব চিত্র
পর পর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভাসল শাল ও হিংলো নদী। খয়রাশোলের নদী সংলগ্ন এলাকায় কজওয়ে ছাপিয়ে জল বইছে। আর তার জেরেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশ কিছু ক্ষণ বিঘ্নিত হল যান চলাচল।
জলের তলায় থাকা সঙ্কীর্ণ কজওয়ে দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বেশ কিছু গাড়ি। তবু এ দিনও সেই ঝুঁকি নিতে দেখা যায় যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি থেকে পথচারী সকলকেই। খয়রাশোলের জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, সোমবার রাতে হিংলো জলাধার থেকে প্রায় চার হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। সেচ দফতরের মতে যে পরিমান জল ছাড়া হয়েছে তাতে কজওয়ে ভেসে যাওয়ার কথা নয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা বলছে, বর্ষা ছাড়া অন্য সময় নদীতে জল না থাকায় জলাধার থেকে ছাড়া জলের সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনা কজওয়ের নীচে হিউম পাইপে আটকে যাওয়াতেই বিপত্তি। কেউ কেউ বলছেন, যাঁরা নদী পারাপার করে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়ে থাকেন, কৃত্রিম ভাবে হিউম পাইপের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁদেরও হাত থাকতে পারে।
ঘটনা যাই হোক মঙ্গলবার সকালে সমস্যায় পড়তে হল ওই ভাসাপুল দিয়ে যাতায়াতকারী অনেকেই। অন্য দিকে ২০০৬ সালে ওই রাস্তা জাতীয় সড়কের তকমা পাওয়ার ছ’ বছর পর রানিগঞ্জ থেকে দুবরাজপুর পর্যন্ত সংস্কার ও চওড়া করার কাজ হয়। কিন্তু শাল ও হিংলো নদীর সেতু দুটির অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এমনকী রেলিং গুলিও ভেঙে গিয়েছে। সঙ্কীর্ণ ওই কজওয়ের দিয়ে যাতায়াতের ঝুঁকি এড়াতে ওই দুটি সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী, কিন্তু সেতু কবে হবে তা স্পষ্ট নয়।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, ওই সেতু তৈরির জন্য সমীক্ষার কাজ শেষ করে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। তবে এখনও পর্যন্ত টাকা বরাদ্দ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy