দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ধারাবাহিকতার তালিকায় এ বার মানবাজার থানার বিসরি পঞ্চায়েতের নাম উঠল। ইতিপূর্বে এই ব্লকের ধানাড়া পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে চিঠি জমা পড়েছে। শুক্রবার মানবাজার ১ বিডিও-র কাছে বিসরি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে ৬ তৃণমূল সদস্য আবেদন জানিয়েছেন। তাতে দলেরই উপপ্রধানও রয়েছেন।
গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিসরি পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১১টি ও সিপিএম ৩টি আসন পেয়েছিল। তৃণমূলের সজ্জিতা বেসরা প্রধান নির্বাচিত হন। উপপ্রধান সুনীল মাহাতো এবং তৃণমূলের বাকি সদস্য তপন সিং, রেখা সেন, লতা সিং, মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও ববিতা মল্লবাবুর মতো সদস্যরা লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন, প্রধান তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেননি। ববিতাদেবী বলেন, “কোথায় কোনও প্রকল্প হবে তা এক শ্রেণির ঠিকাদার ঠিক করে দিতেন। প্রতিবাদ জানালেও লাভ হত না।”
অনাস্থা আনা সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, সিপিএম-র সময়ে যে সব ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে নিম্মমানের কাজের অভিযোগ ছিল, সেই ঠিকাদাররাই এই পঞ্চায়েতে কাজ পাচ্ছেন। দলের এক জেলা নেতার মদতেই ওই প্রধান চলছেন বলে অভিযোগ। জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কাজ হয়নি। পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “পঞ্চায়েত পরিচালনায় সব সদস্যকে সমান গুরুত্ব দিই। তবে কয়েকজন সদস্য আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সুবিধা চাইতেন।”
গত দু’সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কুইলাপাল, মানবাজারের ধানাড়া, বরাবাজারের বান্দোয়ান বানজোড়া এবং শুক্রবার মানবাজারের বিসরি পঞ্চায়েতে দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এ পর্যন্ত একটি পঞ্চায়েতেও অনাস্থার শুনানি হয়নি। মানবাজার ১ বিডিও সায়ক দেব বলেন, “অনাস্থা এবং তার পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অনেকখানি সময় নষ্ট হয়। ধানাড়া পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর। বিসরি পঞ্চায়েতের অনাস্থার ভোটাভুটি পুজোর পরে হবে।” তৃণমূলের জেলা নেতা নবেন্দু মাহালি বলেন, “জেলার কয়েকটি পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে দলের সদস্যরা অনাস্থা চেয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy