Advertisement
১১ মে ২০২৪

পুরুলিয়ায় রূপচর্চার পাঠ নিচ্ছে গ্রামের মেয়েরাও

রূপচর্চার পাঠ নিচ্ছেন পুরুলিয়ার গ্রামের মেয়েরা। জেলার তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। প্রশিক্ষণের পোশাকি নাম ‘এথনিক বিউটি কেয়ার’। ইতিমধ্যে পুরুলিয়া জেলার তিনটি জায়গায় ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৯
Share: Save:

রূপচর্চার পাঠ নিচ্ছেন পুরুলিয়ার গ্রামের মেয়েরা।

জেলার তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। প্রশিক্ষণের পোশাকি নাম ‘এথনিক বিউটি কেয়ার’। ইতিমধ্যে পুরুলিয়া জেলার তিনটি জায়গায় ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের প্রকল্প আধিকারিক নির্মাল্য ঘরামি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ তপশিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগম একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া ও মানবাজারের ওই তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মোট ১৩২ জন রূপচর্চার পাঠ নিচ্ছেন।

যে সংস্থা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে, সেই সংস্থার মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, “নদিয়ার হরিণঘাটায় প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে প্রত্যন্ত এলাকার মহিলাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে এই প্রশিক্ষণ সফল হওয়ায় রাজ্যের ২০টি মহকুমায় এক হাজার মহিলাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যে তাঁদের মধ্যে ৮৮৯ জনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।”

বুধবার রঘুনাথপুর কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ পাওয়া মহিলাদের হাতে বিউটিশিয়ান শংসাপত্র ও বিউটি কিট তুলে দেন দফতরের মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “পুরুলিয়ায় এই প্রথমবার প্রত্যন্ত গ্রামের বা পুরএলাকার মহিলাদের বিউটিশিয়ানের শংসাপত্র ও বিউটি কিট তুলে দেওয়া হল। এ বার থেকে তাঁরা নিজেরাই এলাকায় রূপচর্চার কাজ করে রোজগার করতে পারবেন।

রঘুনাথপুরের নন্দুয়াড়ার বাসিন্দা বীণা বাউরি, ব্লকডাঙার বাসিন্দা সুজাতা বাউরি বলেন, “এই প্রশিক্ষণ পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা এলাকায় বিয়ের সময় কনে সাজানো বা ফেসিয়াল করেছি। অনেকে প্রশংসা করেছেন।” তবে অনেকেই শুধু বাড়ি বাড়ি গিয়ে রূপচর্চা করানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাননা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকা মেয়েদের জন্য বিউটি পার্লার খুলতে চান। কিন্তু তার জন্য প্রচুর টাকার দরকার। দফতর থেকে ঋণের সুযোগ করে দিলে পার্লার খোলার কাজ সহজ হবে। মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথবাবু আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন, “কেউ যদি পার্লার খুলতে চান, তা হলে দফতর থেকে তাঁকে ঋণ দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

beautician course purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE