যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে সরব হলেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া, দুই জেলারই বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির সদস্যেরা। কোথাও পড়ল পোস্টার, কোথাও রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল করলেন পড়ুয়ারা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা মোড়ে পথসভা করে এসএফআই। পরে জেলাস্কুল, হিন্দুস্কুল, বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুল, খ্রিস্টান কলেজের পাশাপাশি জেলার বহু স্কুল ও কলেজে ছাত্র ধর্মঘট সফলের দাবিতে প্রচার চালানো হয় এসএফআইয়ের তরফে। সাঁটানো হয় পোস্টার। সংগঠনের জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের উপরে যে অত্যাচার করা হয়েছে তা অমানবিক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাই উপাচার্যের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকেও মন্ত্রীত্ব থেকে সরানোর দাবি তুলছি আমরা।” যদিও স্কুল-কলেজে পঠনপাঠন বন্ধ থাকার খবর মেলেনি।
পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকানন্দ নগর ক্যাম্পাসে দুপুরে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। তাঁদের বক্তব্য, যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা ঘটেছে, তা খুবই নিন্দনীয়। তাঁরা সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছিলেন। তবে শিক্ষাঙ্গণে ফের যেন এই অশান্তি, এই অত্যাচার না দেখতে হয়। এ দিন পুরুলিয়া শহরের জগন্নাথ কিশোর কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়ুয়াদের ধর্মঘটে সামিল হতে অনুরোধ জানায় এসএফআই। সংগঠনের পুরুলিয়া শহর কমিটির সম্পাদক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এ দিন কলেজের প্রাতঃবিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কাছে ধর্মঘটে সামিল হতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। অনেকেই আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। দিবা বিভাগেও অনেকে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন।” নিস্তারিণী কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী মাহাতোর দাবি, “যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটে এ দিন কলেজের প্রায় সমস্ত ছাত্রীই আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে। কলেজে কোনও ক্লাস হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy