আহত: জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কৃষ্ণবাবু। নিজস্ব চিত্র
প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় নালিশ জানাতে আসা এক অবসরপ্রাপ্ত দমকলকর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল সিউড়ি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার এই অভিযোগ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানিয়েছেন বলে দাবি ওই বৃদ্ধের ছেলে মিলন চৌধুরীর। বৃদ্ধ কৃষ্ণ চৌধুরী বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কী হয়েছিল বলে অভিযোগ?
সিউড়ির তিলপাড়া পঞ্চায়েতের লম্বোদরপুরের বাসিন্দা মিলনবাবু জানান, বাড়ির পাশের একটি নিকাশি নালাকে কেন্দ্র করে এক পড়শির সঙ্গে অনেক দিন ধরে তাঁদের বিবাদ চলে আসছে।
কৃষ্ণবাবুরা জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ তুলে ওই পড়শি মামলা করেছিলেন। মিলনবাবুর দাবি, দিন কয়েক আগে সেই মামলায় জয়ী হন তাঁর বাবা। তাতে ওই পড়শি ও তাঁর স্ত্রী রুষ্ট ছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা ক্রামাগত আশান্তি করছিলেন। মারধরের হুমকি দিচ্ছিলেন। মিলনবাবু বলেন, ‘‘আমার বাবা বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কথা না শুনেই এক ডিউটি অফিসার বাবার সাইকেল কেড়ে নেন। তাঁকে লকআপে ঢুকিয়ে বেধরক মারধর করেন।’’ মিলনবাবুর দাবি, তাঁর বাবার পাঁজর ও বুকে গুরুতর চোট লাগে। বণ্ড দিয়ে থানা থেকে ছাড়াতে হয় তাঁকে। তার পরে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মিলনবাবু বলেন, ‘‘কেন একজন বৃদ্ধের সঙ্গে এমন আচরণ করবে পুলিশ? সেটাই আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছি।’’
মিলনবাবুর এ দিন বলেন, ‘‘আমি এক সময়ে সিপিএমের তিলপাড়া লোকাল কমিটির শাখা সম্পাদক ছিলাম। চাকরি পাওয়ার পরে দল ছেড়ে দিই।’’ তাঁর অভিযোগ, যে পড়শির সঙ্গে ঝামেলা তিনি শাসক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। তাই পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করে থাকতে পারে এ দিন দাবি করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে সিউড়ি থানাও ঘটনার সত্যতা মানতে চায়নি। জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ আমার হাতে আসেনি। এমনটা হওয়ার কথা নয়। যদি কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে সেটা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy