প্রতীক ছবি।
হয়রানির দিন শেষ। এ বার এক ছাতার তলায় প্রতিবন্ধীরা পাবেন সব রকমের সুবিধা। বুধবার সিউড়ির এক ব্লকের কমিউনিটি হলে এক প্রতিবন্ধী সহায়ক অনলাইন সফট্ওয়্যারের উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মুখ্য স্বাস্থ্যা আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি-সহ প্রশানিক কর্তারা।
জেলাশাসকের কথায়, ‘‘জেলা তথা রাজ্যে এই রকম অনলাইন পরিষেবা প্রথম। যে সব নথি জোগাড় করতে চার, পাঁচ মাস লেগে যেত। তা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই পাবেন জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষেরা।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতিবন্ধীদের জন্য এই পরিষেবার পরিকল্পনার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের সময় তাঁকে জানানো হলে তিনি এ ব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করেন। কর্মসংস্থান সহ নানা সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে এই শংসাপত্র খুব জরুরি। তাতে কাজ সহজ করে দেবে এই সফটওয়্যার।
জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য, জেলা প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র সহ আরও কিছু দফতরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। এ বার থেকে জেলার বিডিও অফিস, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র, মহকুমা দফতর, মহকুমা হাসপাতাল, ব্লক মেডিক্যাল স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে নাম নথিভুক্তিকরণ করা যাবে। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রতিবন্ধীদের হাতে শংসাপত্র, পরিচয় পত্র, প্রয়োজনীয় হুইলচেয়ার, বিশেষ লাঠি, শ্রবণ যন্ত্র ইত্যাদি তুলে দেওয়া হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আপাতত প্রায় ৬০ হাজার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। বুধবার সিউড়ি ১ ব্লকের পঞ্চাশ জনকে শংসা পত্র, পরিচয় পত্র, সহায়ক যন্ত্র দেওয়া হয়।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান, নতুন সিস্টেমের সুফল পাবেন প্রতিবন্ধীরা। জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “পুজোর আগে এটা নতুন উপহার। এই অনলাইন প্রক্রিয়ায় প্রকৃত চাহিদা সম্পন্নরা উপকৃত হবেন। শংসাপত্রের জালিয়াতিও বন্ধ হবে।’’ সিউড়ির আলপনা মাল, পানুড়িয়ার চন্দ্রনাথ মুখ্যোপাধ্যায়রা হাতেনাতে শংসাপত্র পেয়ে খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy