Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

দক্ষিণের কড়চা

কাকে বলে ‘সৌজন্য’? অভিধান বলছে, সুজনের মতো শিষ্ট ব্যবহার। আর রাজনৈতিক সৌজন্য? সেটা কি রাজনীতির লোকেরা যে শিষ্টাচার করে থাকেন? যে কারও সঙ্গে? না কি চলতি প্রথা ভেঙে, দলের বেড়া টপকে কেউ যখন অন্য দলের, অন্য রঙের, অন্য গোত্রের কারও দিকে হাত বাড়িয়ে দেন, সেটা? ভোটে-জোটে-টিভির সান্ধ্য ঘোঁটে অসৌজন্যের চেহারাটাই এখন আমাদের বেশি চেনা। সে কারও মুখে থুতু ছেটানো বা বিরোধীর ‘মুন্ডু চাই’ বলা হোক। বা, টিভি-র টক-শোয় অন্যকে থামিয়ে দিয়ে চিৎকার করে চলাই হোক।

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৩
Share: Save:

ভোটে সু-জন

ফুলের ঘায়ে

কাকে বলে ‘সৌজন্য’?

অভিধান বলছে, সুজনের মতো শিষ্ট ব্যবহার।

আর রাজনৈতিক সৌজন্য? সেটা কি রাজনীতির লোকেরা যে শিষ্টাচার করে থাকেন? যে কারও সঙ্গে? না কি চলতি প্রথা ভেঙে, দলের বেড়া টপকে কেউ যখন অন্য দলের, অন্য রঙের, অন্য গোত্রের কারও দিকে হাত বাড়িয়ে দেন, সেটা?

ভোটে-জোটে-টিভির সান্ধ্য ঘোঁটে অসৌজন্যের চেহারাটাই এখন আমাদের বেশি চেনা। সে কারও মুখে থুতু ছেটানো বা বিরোধীর ‘মুন্ডু চাই’ বলা হোক। বা, টিভি-র টক-শোয় অন্যকে থামিয়ে দিয়ে চিৎকার করে চলাই হোক।

এ রাজ্যে অসৌজন্যের নানা নজির যাঁরা গড়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক সময়ে সিপিএমের বিমান-বিনয়-শ্যামল-অনিলেরা যেমন ছিলেন, এখন হয়েছেন তৃণমূলের অনুব্রত-মনিরুল বা কল্যাণ-দোলা। অথচ তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার অনেক আগে, ১৯৮৪-র লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে সৌজন্যেরই নজির গড়েছিলেন কংগ্রেসের তরুণ প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিন মাঝপথে হঠাৎই তাঁর দেখা হয়ে গিয়েছিল প্রতিদ্বন্দ্বী, সিপিএমের বর্ষীয়াণ নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (পরে বহিষ্কৃত) সঙ্গে। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন মমতা।

এই সৌজন্য পরেও মমতা বারবার দেখিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থাকার সময়েই মহাকরণের করিডরে মুখোমুখি পড়ে গিয়ে প্রণাম করেছিলেন জ্যোতি বসুকে। পরে অসুস্থ ও প্রায় গৃহবন্দি জ্যোতিবাবুর বাড়িতে গিয়েও দেখা করেছেন। যে জ্যোতিবাবুকে সত্তরের জরুরি অবস্থাতেও গ্রেফতার করেনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের পুলিশ। লোকে বলে, সে নাকি শুধু বন্ধুত্বের খাতিরে নয়, বিরোধী নেতার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সৌজন্যের বশেও। এই জ্যোতিবাবুই আবার ১৯৯৮ সালে কলকাতার এক অভিজাত নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রকে দেখতে যেতেন নিয়ম করে।

সৌজন্যের এই ধারা যে একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে, তা অবশ্য নয়। গত লোকসভা ভোটের দিনেও যাদবপুরে একে অন্যকে আলিঙ্গন করে কুশল বিনিময় করেছিলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী আর তৃণমূলের কবীর সুমন। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে জিতেই ফের সোমনাথবাবুকে প্রণাম করতে যান মমতা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করতে তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে পাঠান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বাম নেতারাও জোড়হাতে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বুদ্ধ-বিমান।

আপাতত দু’পক্ষে তোপ দাগা তুঙ্গে। কিন্তু দু’দিন আগে আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে তৃণমূলের চৌধুরী মোহন জাটুয়া আর সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের যখন ধাক্কা লেগে গেল, মুখে ঘুষি না মেরে পরস্পরকে জড়িয়েই ধরেছিলেন তাঁরা। ঘাটালে প্রচারের শুরুতেই সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানার বাড়িতে গিয়ে রাবড়ি খেয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব। পুরুলিয়ায় মনোনয়ন জমার সময়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপকে ‘মধ্যমণি’ বলে রসিকতা করতে বাধেনি তৃণমূলের প্রবীণ নেতা কে পি সিংহদেওর।

কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যখন কথায়-কথায় বোমা মারতে বলার বদলে তাঁর দলের লোকের হাতে মার খাওয়া বৃদ্ধ সিপিএম নেতাকে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন, তখন অন্য নজির তৈরি হয়। সিপিএমের নেতাও ঢোক গিলে বলেন, ‘রাজনীতি সব নয়।’

এই চিন্তাটুকুই তো সব। (সঙ্গের ছবিটি অনুব্রত মণ্ডলের)

নমস্কার, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি... এই পর্যন্ত শুনেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন সরকারি আমলা। দিব্যি নিজের দফতরে বসে আপন মনে ফাইল ঘাঁটছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন আসতে অলস ভঙ্গিতে ‘হ্যালো’ বলে পা নাচাচ্ছিলেন টেবিলের উপর। ও প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রীর গলা শুনে খাবি খাওয়ার দশা তাঁর। কী অন্যায়টা তিনি করেছেন যে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতে হল! গলা শুকিয়ে কাঠ। আওয়াজ বেরনোর আগেই অবশ্য ও প্রান্তে টানা রেকর্ড বেজে চলে। মুখ্যমন্ত্রী নয়, তাঁর রেকর্ড করা ‘ভয়েস-মেল’ এসেছে বুঝতে পেরে শেষে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে অফিসারের।

শুধু তিনিই নয়, রোজই বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীর ফোন পেয়ে বোকা বনছেন সাধারণ পাবলিক থেকে নেতা-আমলারা। প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এ বার প্রায় সব রাজনৈতিক দলই তাদের নেতা-নেত্রীর গলায় ভোটের আবেদন রেকর্ড করে মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছে ভোটারদের কাছে। আর তা করতে গিয়ে কট্টর তৃণমূল কর্মীর কাছে কখনও চলে যাচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গম্ভীর গলা। কখনও আমৃত্যু কমরেডের কাছে চলে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন। কেউ বিরক্তি প্রকাশ করছেন, আবার কেউ নির্মল আনন্দ উপভোগ করছেন।

ভিড় রাস্তায় মোটরবাইক চালানোর সময়ে যেমন বুদ্ধবাবুর ফোন পেয়ে বেকুব বনেছিলেন কৃষ্ণনগরের যুবক সুজয় সিংহরায়। আবার কলেজে যাওয়ার পথে মমতার ফোন পেয়ে ঘাবড়েই গিয়েছিলেন চাপড়ার প্রণয় দত্ত। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র কাছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর ফোনও এসেছে। সুমিতবাবুর কথায়, “অধীরবাবুর ফোনটা পেয়েছিলাম রাহুল গাঁধীর শহিদ মিনারের সমাবেশের আগে। তখন বিষয়টা জানতাম না। হঠাৎ ফোন পেয়ে একটু চমকেই গিয়েছিলাম বলতে পারেন। তবে যখন আমার কথার অপেক্ষা না করেই উনি গড়গড় করে ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার কথা বলতে থাকলেন, তখনই খটকা লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাপারটা ধরতে পেরে একচোট হেসেছিলাম মনে-মনে।”

সে হাসুন। আচমকা চমকে গিয়ে হাঁসফাস না করলেই হল।

নাটুকে ভোট

বৈশাখের তপ্ত বিকেল। নবদ্বীপ রাধাবাজার মোড়ে বন্ধ দোকান সবে একটা-দুটো খুলছে। হঠাৎ সমবেত কণ্ঠের ধাক্কায় ভাতঘুমের দফারফা। ব্যাপার কী? ইতিউতি চাইতেই নজরে আসে, চারমাথার মোড়ে বন্ধ দোকানের সাটারের সামনে বড় একটা ফ্লেক্স। সামনে জনা দশেক তরুণ-তরুণী। পরনে কালো পাজামা, সাদা কামিজ। কোমরে জড়ানো কালো ওড়না। তাঁরা গাইছেন ‘আসন্ন এই নির্বাচনে ভোট দিন সবাই মিলে/ বাইরে আছেন যাঁরা, তাঁরা সবাই আসুন চলে।’ কিংবা ‘প্রজাতন্ত্রের পথটি ধরে গণতন্ত্র গড়তে ভাই/ প্রত্যেকে ভোট দেবই দেব, প্রতিজ্ঞাটা রাখা চাই।’ ভিড় জমতে শুরু করেছে। তারই মধ্যে গান শেষ হয়ে শুরু হয়ে যায় নাটক। বিষয়, ভোট দেওয়া কত জরুরি, কী ভাবে দেবেন, কী কী নিয়ে বুথে যেতে হবে টুকরো টুকরো মজাদার দৃশ্যে তা-ই দেখিয়ে চলেছেন কৃষ্ণনগরের সিঞ্চন নাট্য সংস্থার কুশীলবেরা। নির্বাচন কমিশনের হয়ে পঁচিশ মিনিটের নাটকটি লিখেছেন সুশান্তকুমার হালদার। সামনের কয়েক দিন নদিয়ার যে কোনও জায়গা থেকে হঠাৎ কানে আসতে পারে--- ‘অন্যে নয় নিজে ভাবুন, নিজের ভোট নিজে দিন/ ভয় ডর সব সরিয়ে রেখে নির্ভয়েতে ভোট দিন।’ জানবেন, নাটক শুরু হল বলে!

রাঢ়ের সত্যপির

বিজ্ঞাপন নেই। তার বদলে পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে সুচিন্তিত আখর। সিউড়ির প্রকাশনা সংস্থা ‘রাঢ়’-এর দশম বর্ষপূর্তিতে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সভাগৃহে প্রকাশিত হল তাদের পত্রিকা রাঢ়কথা-র দ্বাদশ সংখ্যা ‘সত্যপির-সত্যনারায়ণ’। ৫২৮ পাতার বইয়ে লেখক মোটে বারো জন। তাঁদের লেখা বাদে রয়েছে সত্যপিরের সত্যনারায়ণ সংক্রান্ত জেলাভিত্তিক নানা তথ্য। শতাধিক বছরের কয়েকটি প্রাচীন লেখাও পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে। লেখক মুন্সি আব্দুল করিম, নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত প্রমুখ। রয়েছে পুথি ও লোকনাট্যের কথাও। সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে তিন জন শিল্পী সত্যপিরের গান পরিবেশন করেন। সেটা ছিল উপরি পাওনা।

পর্দার পিছনে

নামভূমিকায় কে? পর্দার আড়ালে থেকেও নিশ্চিত ভাবে রূপম ইসলাম। এই প্রথম তিনি নাটকের সঙ্গীত পরিচালনায়। নাটকের নাম ‘নেমেসিস’ তাঁর পরিচিত একটি গানেরও নাম। তবে শুধু নামের মিল নয়, মিল ভাবনাতেও। তাঁর গানের ভাবনা আর ‘অশোকনগর নাট্যমুখ’-এর নতুন নাটক নেমেসিস-এর মূল ভাবনায় কোথাও একটা তারে তারে মিলে যায়। রূপম বলছেন, ‘যে এক ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে গান লিখি, গাই আমরা, অনেকটা বিষে বিষক্ষয়ের মতো, তার সঙ্গে নাটকের পরিচালক রিলেট করতে পেরেছেন। তাই আমি সঙ্গীত পরিচালনা করতে রাজি হয়ে যাই।’ রবিশংকর বলের উপন্যাস তৈমুর-শাসনের পরের অধ্যায় অবলম্বনে অভি চক্রবর্তীর নির্দেশনায় নাটকটির প্রথম অভিনয় হল গত ২০ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। আজ, ২৩ এপ্রিল অভিনীত হবে কলকাতায় মধুসূদন মঞ্চে।

পদাবলি রূপাবলি

দুই কৃষ্ণনাগরিকে মিলে শুরু হয়েছিল অন্য রকম একটা প্রকাশনার উদ্যোগ। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শিবনাথ ভদ্র ঠিক করেছিলেন, অবসরটা যাপন করবেন রীতিমতো ছুটোছুটি করে অর্থাৎ ছবি আর ছাপায়, বাঁধাই আর কাগজে একটু অন্য রকম বই তৈরির জন্য কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতা ছুটোছুটি করে। সেই থেকেই প্রথম বই প্রকাশ হয়েছিল গত বছর জুনে প্রথম বই আর এক বিখ্যাত কৃষ্ণনাগরিক, সুধীর চক্রবর্তীর। কিন্তু গদ্য নয়, গতানুগতিকতা ভেঙে বেরোতে চায় শিবনাথের ধ্রুবপদ। তাই প্রথম বই হল সুধীর চক্রবর্তীর কবিতা আর আঁকা ছবি নিয়ে, অবতলের পদাবলি অবতলের রূপাবলি। হইহই করে প্রদর্শনী হল কলকাতায়। সেখানেই থামা নয়, এক বছরেই আরও তিনটি বই প্রকাশ করেছে ধ্রুবপদ। এর পরে প্রকাশিত হতে চলেছে শেষের কবিতা-র সচিত্র সংস্করণ। আজ, ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবসে রাজধানীর গুরুগম্ভীর আলোচনা আর রাশি-রাশি বইয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে একটু অন্য রকম বই প্রকাশের চেষ্টায় মেতে আছেন ভদ্রজন।

কুড়মালি রবি

বছর চারেক আগে কলকাতায় ভাষা দিবসের একটি অনুষ্ঠানের জন্য ছৌ প্রশিক্ষণ চলছিল পুরুলিয়ায়। পাঁচ জনের সঙ্গে ছিলেন কবি তথা ঝুমুর গীতিকার সুনীল মাহাতোও। কুড়মালি ভাষায় লেখেন তিনি। কাব্যগ্রন্থ, নাটক, ঝুমুর আর ছোটগল্পের সংকলন রয়েছে। আয়োজকেরা হঠাৎ তাঁকে বললেন, মাতৃভাষা দিবসে শুধু বাংলা কেন, কুড়মালি ভাষায় একটা-দু’টো গান হলে মন্দ হয় না। তাঁদেরই উৎসাহে ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ অনুবাদ করলেন সুনীলবাবু আঝু বাংলা মুলুক ছতিআলে কখনে আপনি...।

পুরুলিয়ার পাড়া-র কালুহার গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান সুনীল মাহাতো কিন্তু এখানে কুড়মালি চর্চার সুযোগ পাননি। বাড়িতে সে ভাষা শুনে থাকলেও লেখাপড়া বাংলাতেই। পরে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কুড়মালি নিয়ে এমএ পাশ করেন। কিছু দিন রাঁচি গোসনার কলেজে কুড়মালি ভাষা বিভাগে অতিথি অধ্যাপকের চাকরি করে ফিরে এসেছেন মাটির টানেই। তাঁর ‘পিঁদাড়ে পলাশের বন, পালাব পালাব মন’ গানটি ‘শিল্পান্তর’ ছবিতে ব্যবহৃত হওয়ার পরে এখন অনেক বাংলা ব্যান্ড সেটি গায়। তাঁর ঝুমুর রেকর্ড করেছেন ঝাড়গ্রামের বিজয় মাহাতো, ইন্দ্রাণী মাহাতো, পুরুলিয়ার বিহারীলাল মাহাতো, নাচনি মালাবতীরা। অভিজিৎ বসু, বিপুল চক্রবর্তী, শিলাজিৎও গেয়েছেন তাঁর ঝুমুর।

কিন্তু এখন সুনীলবাবুর বড় প্রেম রবীন্দ্রনাথ। কলকাতার অনুষ্ঠানে মূল গানটির সঙ্গে কুড়মালিতেও কয়েক লাইন গাওয়া হয়েছিল। শ্রোতারা প্রশংসা করলেন। উৎসাহিত হয়ে একে-এক ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙামাটির পথ’ এবং ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’-গান দু’টিও কুড়মালিতে তর্জমা করেন তিনি। এর পরে একের পর এক। কিছু দিন আগেই বেরিয়েছে তাঁর রবীন্দ্রগানের অনুবাদ সংকলন রবি ঠাকুরের গিত (কুড়মালি পরসন)। ইতিমধ্যে ৫২টি গান অনুবাদ করা হয়ে গিয়েছে। কাজ অবশ্য চলছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

karcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE