বামেদের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কী কী করণীয় তা জানতে বাসিন্দাদের প্রস্তাব সংগ্রহ করলেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকালে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যরা বিষ্ণুপুর সদর এলাকায় বাসিন্দাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত এলাকার শতাধিক বাসিন্দা বিভিন্ন সংসদ এলাকায় রাস্তা, আলো ও পানীয় জলের পরিকাঠামো তৈরির জন্য পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক প্রস্তাব দেন। প্রধান শেফালি বর্মনের কথায়, ‘‘এলাকার উন্নয়নের জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বাসিন্দাদের থেকে সব প্রস্তাব শোনা হয়েছে।’’ জেলা পরিষদের তৃণমূলের সহকারী সভাধিপতি পূর্ণেন্দু দে বলেন, ‘‘উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব আমাদের হাতে আসলে বাসিন্দাদের স্বার্থে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।’’
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট ৯টি আসন দখল করে। কংগ্রেসের ৭টি ও সমাজবাদী পার্টির একটি আসনে জয়ী হয়। পরবর্তীতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময়ে শরিকি বিবাদের জেরে কংগ্রেসের ৭ ও সিপিএমের এক সদস্যের সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হন ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য জিন্নাতুন খাতুন। গত জানুয়ারি মাসে সিপিএমের ৫ জন, কংগ্রেসের ২ জন ও সিপিআই ও আরএসপির এক জন করে সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরই হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয়বাবুর নেতৃত্বে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রধানের বিরুদ্ধে দলত্যাগীরা ব্লক প্রশাসনের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী শেফালি বর্মন ফরওয়ার্ড ব্লকের বিদায়ী প্রধান জিন্নাতুন খাতুনকে ৯-৮ ভোটে পরাজিত করে প্রধান নির্বাচিত হন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের অভিযোগ, ‘‘বিরোধী সদস্যদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে দলে টেনে তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy