সেন্ট জোসেফ স্কুলের ১২৫ তম বর্ষপূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
সেন্ট জোসেফ স্কুলের ১২৫ তম বর্ষপূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। দার্জিলিঙে এ দিনের অনুষ্ঠানে নিজেকে ‘জেসুট প্রাক্তনী’ হিসেবে পরিচয় দেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজের ছাত্র হওয়ার সুবাদে তিনিও স্কুলের প্রাক্তনী। জেসুট এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটের পরিচালিত সেন্ট জোসেফ স্কুলের ১২৫ বর্ষপূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এ ভাবেই স্কুলের সঙ্গে নিজের যোগসূত্রের পরিচয় দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, “দেশে শিক্ষার আলো বহন করে চলেছে জেসুট প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত।”
এ দিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যপাল। গত বছরের নভেম্বর মাসে স্কুলের ১২৫ বর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সে সময়েও রাজ্যপাল উপস্থিত ছিলেন। এ দিন সে কথা জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “সূচনা ও সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে ভাল লাগছে। ১২৫ বছরের প্রতিষ্ঠান দেশের এবং দেশবাসীর অনেক মৌলিক পরিবর্তনের সাক্ষী। মূল্যবোধ, সততা, এই স্কুলের সম্পদ।” স্কুলের ইতিহাস নিয়ে লেখা একটি বইও এ দিন প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ১৮৮৮-র ১৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিঙে সানি ব্যাঙ্কে স্কুলের যাত্রা শুরু। ১৮৯১ সালে সিঙিমারিতে স্কুলের স্থায়ী ভবন তৈরি হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিভিন্ন প্রসঙ্গে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহুরুর বিভিন্ন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেছেন রাজ্যপাল। ভাল ক্লাস রুম তৈরি না হলে, ভাল দেশ গড়া সম্ভব হবে না, জওহরলাল নেহরুর এই বক্তব্য জানিয়ে দেশের শিক্ষাবিদদের কাছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মান উন্নয়ন করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “জওহরলাল নেহরু দেশের মানুষেরাই দেশ তৈরি করে। আর শিক্ষা দেশের মানুষদের তৈরি করে। এই প্রসঙ্গে সেন্ট জোসেফের অবদান অনস্বীকার্য। একদিন দেশের ইতিহাসে এই স্কুলের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।” স্কুলের পড়ুয়ারা এ দিন রাজ্যপালকে সংবর্ধনা দেয়। আবৃত্তি এবং গান পরিবেশন করেন এই স্কুলের পড়ুয়ারা। এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রাক্তনীরা উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy