পাড়ার ছেলেরা ব্যস্ত মোবাইল, ফেসবুক নিয়ে। পুজোর চাঁদা তোলায় এ বার আর তাঁদের তেমন মন নেই।
তাহলে পুজোর কী হবে? কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল বালুরঘাট শহরের প্রাচ্যভারতী ক্লাবের অন্যতম প্রবীণ প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ সাহার। সহায় হলেন পাড়ার মহিলারা। অনিতা বর্মন, দিপালী লোধ, রাধা মোহান্তদের মতো ২০ জন মহিলা নিজেদের হাতে তুলে নিলেন পুজোর ভার। দলের প্রবীণ সদস্যা ইলা মোহান্তের কথায়, “ছেলেরা সাড়া দেয়নি বলে তো আর এত বছরের পুরনো পুজো বন্ধ হয়ে যেতে দিতে পারি না। ছোটরা তো সারা বছর পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকে। তা সে পুজোর জাঁকজমক নাই বা হল!”
পুজোর আয়োজনে বালুরঘাটের পুলিশ আবাসনের মহিলাদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। পুলিশ-ঘরণীরা জানালেন, পুজোর মরসুমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকেন স্বামীরা। তা বলে প্রতিবারের মতো এ বারও পুজোর আনন্দ মাটি হতে দেননি বালুরঘাট থানা লাগোয়া ওই আবাসনের মহিলারা।
উদ্যোক্তা সুজাতা মণ্ডল বলেন, “প্রতিমা আনা থেকে চাঁদা তোলা, সব কাজই আবাসিক মহিলারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিচালনা করছি।” জানালেন, নবমীর দুপুরে সকলকে নিয়ে মণ্ডপে বসে পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়ানোও হয়।
শহরের ব্রিজকালী পাড়ার মাতৃশক্তি সঙ্ঘের মহিলারাও চাঁদা তুলে পুজো করেন। আলোকসজ্জা, প্রতিমা সজ্জা থেকে শুরু করে চাঁদা তোলাসব দায়িত্বই সামলাচ্ছেন মহিলারা। মাতৃশক্তি সঙ্ঘের সম্পাদক শিখা সাহাচৌধুরী বলেন, “এলাকার প্রতিটি বাড়ির মহিলারা এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। ফলে পুজোর ক’টা দিন সব বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়।”
এলাকায় পুজো নেই বলে এ বারে নিজেরাই পুজো করছেন শহরের রাজেন্দ্রপ্রসাদ সরণি এলাকার পাপিয়া দাস, সুস্মিতা ভট্টাচার্য, মানসী অধিকারিদের মতো ৩০ জন মহিলা। তাঁদের আয়োজনও প্রায় শেষ পর্যায়। পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কবিতীর্থ ক্লাবের প্রমিলা বাহিনী, বালুরঘাট দক্ষিণ খাদিমপুর সরকারি আবাসনের মহিলারাও। পিছিয়ে নেই গ্রামের মেয়েরাও।
বালুরঘাট ব্লকের বড়কইল মহিলা পুজো কমিটি এ বারে দুর্গাপুজোর সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। গ্রাম থেকে দল বেঁধে শহরে এসে প্রতিমার সাজসজ্জা থেকে পুজোর উপকরণ বেছে নিয়ে যাওয়া, সবই করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy