কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ডালখোলা পুরসভার ১০ কাউন্সিলর। —নিজস্ব চিত্র
কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি উত্তর দিনাজপুরেও এখন ভাঙন অব্যাহত। গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানির পরে এ বার তাঁরই পথ ধরে ওই জেলার ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ১০ কাউন্সিলরই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই দলবদলের জেরে কংগ্রেসের হাত থেকে ডালখোলা পুরসভার নিয়ন্ত্রণ আসবে তৃণমূলের কাছে। তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে মঙ্গলবার ডালখোলার কংগ্রেস কাউন্সিলরদের আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগত জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
মুকুলবাবু জানান, ১৬টি ওয়ার্ডের ডালখোলা পুরসভায় ১০ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। তৃণমূলের দু’জন এবং বামফ্রন্টের চার জন ছিলেন। দলবদলে তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা ১২ হল। ডালখোলার দলত্যাগী কাউন্সিলরদের অনেকেই এ দিন জানান, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ করতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন।
তবে মুকুলবাবুর বক্তব্য, “এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক গোলাম রব্বানি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ বার ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী, ভাইস চেয়ারম্যান আলি রেজা খানের নেতৃত্বে কংগ্রেস কাউন্সিলররা যোগ দিলেন। কারণ, উত্তর দিনাজপুরের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি কংগ্রেসর সঙ্গে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে চায়।” দলের ভাঙনকে অবশ্য জেলা কংগ্রেস সভাপতি এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর কথায়, “সুভাষবাবুরা দল ছাড়ায় কংগ্রেসের ভালই হয়েছে। পরের নির্বাচনে আমরা পুরভোটে আবার জিতব। ওঁরা গত লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করেননি। এঁদের মতো লোকজন যত বেরিয়ে যাবেন, সংগঠনের তত ভাল হবে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy