এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার মহিষবাথান এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন সকালে মহিষবাথান এলাকায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিষ্ণু সরকার (৩৫) নামে এক বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সদস্য বুধেশ্বর বর্মন বিষ্ণু বাবুর বাড়িতে গিয়ে দাবি করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে ঘটনাস্থলেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
বুধেশ্বরবাবুর অভিযোগ, তাঁকে সেখানে মারধর করা হয়। রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় কেউ যাতে বিজেপি না করে সে জন্য নানা সময় আমাদের হুমকি দিত তৃণমূল কর্মীরা। বিষ্ণুর মৃত্যু যেভাবে হয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহ হওয়াতেই খুনের অভিযোগ তুলেছি। এ জন্যই আমাকে মারধর করা হয়। আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এলাকায় থাকা আমার কাছে এখন আতঙ্কের ব্যাপার।”
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “বিজেপি অহেতুক একটি দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল কর্মীরা কারও বাড়ি ভাঙচুর করেনি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত বিজেপি নেতা বিষ্ণু বাবুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই বুধেশ্বর বাবুর বাড়ি। পেশায় ডেকোরেটসর্ বুধেশ্বর বাবু কোচবিহারে দলের নেতাদের সবকিছু জানানোর পরে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এখানেই বুধেশ্বর বাবু বলেন, “সব পুলিশকে জানিয়েছি। জানি না তাঁরা কি ব্যবস্থা করবে? দলের তরফেও বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা নেতা নিত্যানন্দ মুন্সি বলেন, “সমস্ত স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের উপরে যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, তাতে আমাদের কর্মীরা, গ্রামে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশ, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy