তৃণমূল সমর্থকদের মারধরে জখম সিভিক ভলান্টিয়ার চিরঞ্জিত মণ্ডল, (পিছনে) জখম এএসআই অসীম ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক এএসআইকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের তিন কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ৮ টা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরের চৌরাস্তার মোড়ে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় থানার পুলিশের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রহৃত এএসআই অসীম ঘোষকে স্থানীয় কালদিঘি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত এএসআই অসীমবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা হলেন মৃদুল ঘোষ ও বাপি দত্ত। গঙ্গারামপুরে তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র অনুগামী বলে পরিচিত মৃদুলবাবু। পেশায় বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির ঠিকাদার মৃদুলবাবু আইএনটিটিইউসি-র বিদ্যুৎ শাখার নেতা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বিধায়ক তথা বিদায়ী তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্তরা দলের সমর্থক হতে পারে। কিন্তু কেউই নেতা নন। অন্যায়কারীদের পাশে দল দাঁড়াবে না।’’
এ দিন ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপলক্ষে গঙ্গারামপুর শহরের বিকেল থেকে মানুষের ভিড় ছিল। তা ছাড়া শহরের ওই চৌরাস্তার ব্যস্ত মোড়ে যানবাহনের ভিড় সব সময় লেগে থাকে।
থানা সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর থানার এএসআই অসীম ঘোষ ওই সময় চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কর্মীদের দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। সে সময় অভিযুক্তরা রাস্তার মোড়ে অবৈধ ভাবে মোটরবাইক পার্কিং করে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ। তাতে যানজন বেড়ে যেতে দেখে এএসআই অসীমবাবু বাইকটি রাস্তার মোড় থেকে সরিয়ে দেন।
এর পরে অভিযুক্তরা এসে মোটরবাইক সরানোর প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ করে গালাগালি শুরু করে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্তরা এএসআই অসীমবাবুর উপর চড়াও হয়ে চড় ঘুসি মারতে থাকে। আচমকা তিনজন মিলে লাগাতার হামলায় বেসামাল হয়ে ওই পুলিশ অফিসার বসে পড়েন। তাঁর বাঁ চোখে আঘাত লাগে। সিভিক ভলেন্টিয়ার-সহ উপস্থিত হোমগার্ডেরা ছুটে এসে মারমুখী অভিযুক্তদের কবল থেকে অসীমবাবুকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে থানা থেকে ছুটে আসেন আইসি সহ অন্য পুলিশ কর্মীরা। আহত অবস্থায় অসীমবাবুকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই অভিযুক্তদের তাড়া করে পুলিশ ধরে ফেলে থানায় নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy