Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গরুপাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ টাপুরহাট

গরু পাচারে পুলিশি মদতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কোচবিহারের টাপুরহাট এলাকা। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষের পরে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের কোনও সম্পর্ক সত্যিই রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের বড় কর্তারা। তবু ক্ষোভ মেটেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

পুলিশের ভ্যান ঘিরে বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের ভ্যান ঘিরে বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৪২
Share: Save:

গরু পাচারে পুলিশি মদতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কোচবিহারের টাপুরহাট এলাকা। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষের পরে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের কোনও সম্পর্ক সত্যিই রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের বড় কর্তারা। তবু ক্ষোভ মেটেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের মদতেই এলাকায় গরু পাচারকারীদের দৌরাত্ম বেড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে গরু চুরি হচ্ছে। শেষ এক সপ্তাহে অন্তত ১০টি গরু চুরি হয়েছে। তা নিয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা রাত পাহারার দল তৈরি করে গ্রামে। বাসিন্দাদের দাবি, যে ট্রাকটি ভাঙচুর করা হয়েছে, তাতে করেই গরু পাচার করা হয়। সেটির যাতায়াতের রাস্তায় যাতে কোনও বাধা না পড়ে, সে জন্যই পুলিশ রাতে সক্রিয় থাকে। তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনোরুদ্দিন মিয়াঁ বলেন, “গ্রাম থেকে বেশ কিছু গরু চুরি হয়েছে। সে জন্য বৈঠক করে আমরা রাত পাহারার ব্যবস্থা করি। পুলিশ মারধর করাতেই বাসিন্দারা ক্ষেপে যায়।” পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি থেকে জোর করে টাকা আদায়ে বেশ কয়েকটি দল সেখানে সক্রিয় রয়েছে। তাদের দু’জনকে আটক করাতেই গ্রামবাসীরা পুলিশকে আক্রমণ করে।

গ্রামের বাসিন্দা জীতেন বর্মন বলেন, “দিন কয়েক আগে আমার বাড়ি থেকে দু’টি গরু চুরি হয়ে যায়। রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি গরু নেই। গ্রামের বাসিন্দাদের চুরির কথা জানাই।” একই অভিযোগ করেন এনসার আলি, উকিল বর্মনরা। শুধু গরু চুরি নয়, এলাকায় গত এক মাস ধরে সিঁদ কেটে চুরির ঘটনাও ঘটছিল। এলাকার বাসিন্দা সামাদ হোসেন বলেন, “আমরা মৌখিক ভাবে টাপুরহাট ক্যাম্পের পুলিশকে চুরির কথা জানাই। পুলিশ কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে। কিন্তু তাঁরা দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করেনি। বাধ্য হয়ে গত রবিবার বাজারে বৈঠক করে আমরা রাত পাহারার সিদ্ধান্ত নিই।”

গত এক মাস ওই এলাকা এবং আশেপাশের অঞ্চল থেকে ৫০ টির বেশি গরু চুরি হয়েছে। লিখিত অভিযোগ কেউ করনি বলে পুলিশের দাবি। তবে কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE