মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিমল গুরুঙ্গ-সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ২৯ মে চার্জশিট পেশের সময় কলকাতার নগর দায়রা আদালতকে সমন জারি করতে বলেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে সমন জারি করতে বলেছিল। কিন্তু তার পরে ৬ জুন ওই আদালতে সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিল, বুধবার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
এ দিন মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় ওই অভিযুক্তদের আগাম জামিনের মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অসীম রায় সিবিআই-য়ের আইনজীবী মহম্মদ আসরাফ আলির কাছে জানতে চান, চার্জশিট পেশের সময়েই তদন্তকারী অফিসার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন জানাননি কেন। বিচারপতি রায় এ দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে এ-ও জানতে চান, প্রথম দফার চার্জশিটে বিমল গুরুঙ্গদের অভিযুক্ত করা হয়নি কেন। তদন্তকারী জানান, আগে কী হয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না। তবে, তিনি তদন্তের ভার পেয়ে ওই ২৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন। তার ভিত্তিতেই চার্জশিট পেশ করেছেন। এ দিন সিবিআই-য়ের আইনজীবী বিচারপতি রায়ের আদালতে জানান, আগাম জামিনের মামলা লড়ার জন্য তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের কোনও আইনজীবীকে নিযুক্ত করতে চান। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিল্লি কার্যালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুমোদন পাওয়ার জন্য হাইকোর্ট তাদের দু’সপ্তাহ সময় দিক।
এর আগের শুনানিতে বিচারপতি রায় সিবিআই-য়ের তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে কী তদন্ত করেছেন, কী তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে বিমল গুরুঙ্গদের নাম দ্বিতীয় চার্জশিটে ঢুকিয়েছেন, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে। সেই হলফনামা এ দিন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী অফিসার।
বিচারপতি রায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চান, মামলার নথিপত্রের প্রত্যয়িত কপি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে কি না। তদন্তকারী জানান, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসের ফটোকপি করার যন্ত্রটি খারাপ থাকায় তিনি তা করতে পারেননি। বিচারতি রায় তদন্তকারীকে নির্দেশ দেন, আজ বৃহস্পতিবার বেলা দু’টোর মধ্যে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিযুক্তির অনুমোদনের জন্য সময় চেয়ে যে আবেদন করেছে, হাইকোর্ট আজ সেই ব্যাপারেও তার মতামত জানাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy