শিলিগুড়িতে বিজেপি ও জোটসঙ্গীদের বৈঠক। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়িতে পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে উত্তরবঙ্গের এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করল বিজেপি। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে একটি অভিজাত হোটেলে ওই বৈঠকে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। দল সূত্রের খবর, একজোট হয়ে লড়ার ব্যাপারে সকলে সহমত হলেও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনায় শিলিগুড়ি পুরসভায় ভোট হলে সেখানে অন্তত ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তবে কোথায়, কোন দলের কতটা সংগঠন ও সমর্থক রয়েছে তার উপরেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ওই বৈঠকে মোর্চার পক্ষে রোশন গিরি, কেপিপি-র পক্ষে আনারুল শেখ, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ধারি ওঁরাও, লোক জনশক্তির মনোজ রায়, আদিবাসীদের জন বার্লা গোষ্ঠীর পক্ষে সুভাষ পানিকর ও প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তরফে রাজকুমার কিন্ডো যোগ দেন। রাহুলবাবু বলেন, “পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ ভোটে একজোট হয়ে লড়বেন এনডিএ শরিকরা। তা নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখনই আসন রফা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হবে না। তা নিয়ে পরে আলোচনা হবে।”
এ দিন দেড় ঘণ্টার বৈঠকের শুরুতেই পঞ্চায়েত ভোটে নিচু তলায় জোট গড়ার প্রয়োজন নেই বলে আদিবাসী একটি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়। বিজেপি এবং মোর্চার তরফে অবশ্য এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়। দু’দলের দাবি নিচু তলার জোট নিয়েও দলের নির্দেশ মানতে হবে। এরপরেই শিলিগুড়ি পুরসভা ভোটে ১০টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানায় মোর্চা। বিজেপি-র নেতারা এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করলে মোর্চা দাবি জানায় এলাকা ভিত্তিক সংগঠনের নিরিখে আসন ভাগ করতে হবে। এরপরেই চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত নয়। এ দিন অবশ্য রোশন গিরি বলেন, “আমরা পুরভোট ও মহকুমা পরিষদে একজোট হয়ে লড়ব। আসন সমঝোতা নিয়ে সমস্যা হবে না।” এ দিনের বৈঠকে বিজেপি-র তরফে দলের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসু সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy