Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূল নেতা খুনে ক্রমশ প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

তৃণমূল কর্মী প্রদীপ বর্মনের খুনকে কেন্দ্র করে মাথাভাঙায় ক্রমশ জোরদার হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে মিছিল করে দলের নেতাদের খুনের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর দাবি করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে, শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মনের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এর আগে শুক্রবার দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামী বলে বলে পরিচিত মাথাভাঙা-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু তালেব আজাদের বিরুদ্ধে অফিসে উপস্থিত না থাকার অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ সমিতির সদস্যেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫৬
Share: Save:

তৃণমূল কর্মী প্রদীপ বর্মনের খুনকে কেন্দ্র করে মাথাভাঙায় ক্রমশ জোরদার হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে মিছিল করে দলের নেতাদের খুনের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর দাবি করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে, শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মনের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এর আগে শুক্রবার দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামী বলে বলে পরিচিত মাথাভাঙা-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু তালেব আজাদের বিরুদ্ধে অফিসে উপস্থিত না থাকার অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ সমিতির সদস্যেরা। দিন কয়েক আগে মাথাভাঙা-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল করে খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় নয়ারহাটের তৃণমূল কর্মী প্রদীপবাবুকে। নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা ঘিরে গণ্ডগোলের জেরে দলেরই একটি অংশ তাকে খুন করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রদীপবাবু খুনে অভিযুক্তদের তালিকায় ২৩ জনের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছাড়াও জেলা সভাপতি ঘনিষ্ঠ নেতা নজরুল হকের নাম রয়েছে। পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে আরও যাঁদের নাম উঠে আসবে, পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে। বিধায়ক হিতেন বর্মন গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত তৃণমূলের শ্রমিক নেতা আলিজার রহমান বলেন, “প্রদীপ বর্মন খুনে অভিযুক্তরা অনেকেই পালিয়ে রয়েছেন বলে জানি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত। সে জন্যই হয়ত তিনি অফিসে যাচ্ছেন না। যেটাই হোক, সমিতির কাজে ক্ষতি হচ্ছে। আবু তালেব আজাদ ৯ অক্টোবর থেকে টানা অফিস যাচ্ছেন না।”

আবু তালেব আজাদ বলেন, “চক্রান্ত করে ওই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমাকে। আমাকে সভাপতি পদ থেকেই সরানো যে চক্রান্তকারীদের লক্ষ্য, তা এবারে প্রমাণিত হল। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কোনও একটি কাজও যে আটকে আছে, তা উদাহারণ দিয়ে জানানো হোক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE