দু’দিন বন্ধ থাকার পরে মঙ্গলবার থেকে ফের খুলে গেল ডুয়ার্সের চামুর্চির ভুটান গেট। এ দিন সকালে গেট খোলার পরে, ভুটানে আটকে থাকা ৩৫টি গাড়ি এ দিন সীমান্ত পেরোতে পারে। গাড়িগুলিকে লক্ষ করে যাতে কোনও হামলা না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশই এ দিন পাহারা দিয়ে গাড়িগুলিকে পার করে দেয়।
গত শনিবার গভীর রাতে ভুটান থেকে চামুর্চি এলাকার এক কিশোরীর দেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই কিশোরী ভুটানে কাজ করতে গিয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রবিবার দিনভর ভারত-ভুটান সার্ক রোডের উপর দেহ রেখে অবরোধ করে রাখেন বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত করে, দোষীদের ধরার দাবি তোলা হয়।
সন্ধ্যায় পুলিশ দেহ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল, ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। পাথরের আঘাতে এক ডিএসপি সহ ৪ পুলিশ কর্মী জখম হন। পরে গভীর রাতে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার ময়নাতদন্ত করে কিশোরীর দেহ বাগান লাগোয়া এলাকায় শেষকৃত্য হয়েছে।
এ দিকে, গত রবিবার পুলিশের উপর হামলা সহ গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগে মঙ্গলবারও চার জনকে পুলিশ ধরেছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট ১০ জনকে ধরল পুলিশ। এ দিন সীমান্ত পেরিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও গ্রেফতারের ভয়ে চামুর্চি এলাকা ছিল সুনসান। সব এলাকাতেই পুলিশ টহলদারি চলেছে।
ধৃতদের এ দিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করানো হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। দার্জিলিং জেলা লিগাল এইড ফোরামের তরফে নিহত কিশোরীর পরিবারকে আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। সোমবার ওই ঘটনা নিয়ে ফোরামের থেকে খোঁজ নিয়ে নাগরাকাটায় সভা করা হয়।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, “দেহটি বানারহাট পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত ছিল। পরিবারের বক্তব্য সাদা কাগজে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে দেহ কেন পৌঁছে দেওয়া হল সেটাই রহস্য। জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy