Advertisement
০২ মে ২০২৪

দুর্গাবাড়িতে এখনও ভিড় জমে মহাভোগের জন্য

ষষ্ঠীর অধিবাসের আগে প্রায় আট থেকে ন’ভরির সোনার গয়না পরবেন দেবী। মাথায় সোনার মুকুট, টিকলি, গলায় হার, নাকে নথ, কপালে টিপ ও হাতে চূড় দিয়ে সাজানো হবে আলিপুরদুয়ার হাটখোলা দুর্গাবাড়ির দেবী প্রতিমা। ১১৮ বছর আগে আলিপুরদুয়ার শহরের সম্পন্ন ব্যবসায়ীরা শুরু করেছিলেন আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ির পুজো।

দুর্গাবাড়ির রান্নাঘর। হাটখোলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাবাড়ির রান্নাঘর। হাটখোলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

নারায়ণ দে
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২৪
Share: Save:

ষষ্ঠীর অধিবাসের আগে প্রায় আট থেকে ন’ভরির সোনার গয়না পরবেন দেবী। মাথায় সোনার মুকুট, টিকলি, গলায় হার, নাকে নথ, কপালে টিপ ও হাতে চূড় দিয়ে সাজানো হবে আলিপুরদুয়ার হাটখোলা দুর্গাবাড়ির দেবী প্রতিমা। ১১৮ বছর আগে আলিপুরদুয়ার শহরের সম্পন্ন ব্যবসায়ীরা শুরু করেছিলেন আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ির পুজো। আজও নিয়মনিষ্ঠা মেনে সেই পুজো চলছে।

আলিপুরদুয়ার শহর ও সংলগ্ন ফালাকাটা, শামুকতলা, রাজাভাতখাওয়া, কালচিনি, সলসলাবাড়ি, আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার বহু মানুষের অষ্টমী অসম্পূর্ণ থাকে দুর্গাবাড়ির মহাভোগ না খেলে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়িতে অষ্টমীর ভোগের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ান কয়েক হাজার মানুষ। এ বারেও উদ্যোক্তারা ২০ কুইন্টাল চাল ডাল ও প্রায় ৫ কুইন্টাল সব্জির ভোগ তৈরী করবেন পুজোর তিন দিনে।

দুর্গাবাড়ি পুজো কমিটির সম্পাদক কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, প্রথম থেকে নিয়ম মেনে, দুর্গা ও লক্ষ্মী-সরস্বতীকে আমরা কলকাতা থেকে আনা বেনারসী শাড়ি পরাই। ষষ্ঠীর অধিবাসের আগে সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয় দেবীর সাবেক প্রতিমা। অষ্টমীর অঞ্জলিতে দুর্গাবাড়ির চাতালে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। অঞ্জলির পরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে ভোগ নেওয়ার পালা। এবারেও প্রায় ২০ হাজার ভক্তকে ভোগ বিলি করা হবে সপ্তমী, মহাষ্টমী ও নবমীর দিন।

এত রান্নার আয়োজনও কম নয়। হাটখোলা এলাকায় দুর্গাবাড়ির রান্নাঘরে মেঝেতে থরে থরে রাখা চালের বস্তা। কংক্রিটের তাকে রাখা রয়েছে সাজানো ডাল, বাদাম, চিনি, তেল, কাজু, কিসমিস। ভোগ রান্নার দায়িত্বে থাকা অলোক সাহা, শ্যামল দে, শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়রা জানান, তিন দিনে প্রায় ১৬ কুইন্টাল কালো নুনিয়ার চাল, ৪ কুইন্টাল মুগ ডাল, আলু, কুমড়ো, ফুলকপি, বাঁধা কপি, কোয়াশ, পটল, মূলো মিলিয়ে ১৩ রকমের সবজি রান্না হবে। তার জন্য দুই কুইন্টাল সর্ষের তেল, ৫০ কিলো ঘি ও পায়েসের জন্য থাকছে ৫০ কিলো দুধ। লুচির জন্য রাখা হচ্ছে এক কুইন্টাল ময়দা। অষ্টমীর মহাভোগে থাকছে খিচুড়ি, লাবড়া, লুচি। উদ্যোক্তারা আরও জানান, প্রতি সন্ধ্যায় ভক্তদের শালপাতার বাটিতে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। তার জন্য প্রায় ১৫ হাজার শালপাতার বাটি আনানো হয়েছে। প্রতি দিন দুপুরে কুপনের মাধ্যমে ভোগ বিলির জন্য পাঁচ হাজার বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করে আনানো হয়েছে।

ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকে প্রায় ১০-১২ জনের দল বসবে সবজি কাটতে। পুজোর তিন দিন ভোর থেকেই চলবে ভোগ রাঁধার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই মহাভোগের কুপন সংগ্রহ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ভক্তেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE