উদ্ধার হওয়া এই ঘড়িয়ালটি ছাড়া হয়েছে কুলিকে।—নিজস্ব চিত্র।
দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পর ধরা দিল ঘড়িয়াল। শনিবার বাংলা বিহার সীমান্তে অবস্থিত ৯ নং গৌরী অঞ্চল সংলগ্ন নাগর নদী থেকে এই প্রাণিটি উদ্ধার করেন বিহারের কিছু যুবক। ঘড়িয়ালটি উদ্ধার করার পর রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে বনদফতরে খবর গেলে, তড়িঘড়ি বনকর্মীদের একটি দল সেখানে পৌঁছন। গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন ঘড়িয়ালটি বিহারের উদয়পুর গ্রামে নিয়ে গেছেন কিছু যুবক। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ ডিভিশনের বনাধিকারিক দ্বিপর্ণ দত্ত, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সুব্রত পালচৌধুরী-সহ বেশ কয়েক জন পৌঁছে যান গ্রামটিতে।
রায়গঞ্জ বন বিভাগের প্রাধান দ্বিপর্ণ দত্ত বলেন প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় গ্রামেরই কিছু যুবক আমাদের বাধা দেন এবং প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা দাবিও করেন। পরে জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৎপরতায় ঘড়িয়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়।
শুক্রবার সকালে ঘড়িয়ালটিকে সুবর্ণপুর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিসাহার অঞ্চলে মহানন্দার চরে রোদ পোহাতে দেখা যায়। গ্রামে ঘড়িয়াল এর উপস্থিতির কথা চাউর হতেই রীতিমত মেলার আকার ধারন করে নদীর দুই তীর। এ দিন সকালে রায়গঞ্জ কুলিক ফরেস্টে সেটির চিকিৎসা করানো হয়। এবং কিছু দিন কুলিকে রেখেই ঘড়িয়ালটির পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। ঘড়িয়ালটির থাকার জন্য তড়িঘড়ি কৃত্রিম জলাশয় বানানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy