বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। কিন্তু গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ। আর তার জেরে গরম পড়তে না পড়তে তুফানগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় লোডশেডিং বেড়ে গিয়েছে। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন এই এলাকার ৪০ হাজারের বেশি গ্রাহক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তুফানগঞ্জ শহর, অন্দরান ফুলবাড়ি, ধলপল, চিলাখানা, মারুগঞ্জ, নাটাবাড়ি, দেও চড়াই, নাককাটিগছ, বালাভূতের মত বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলা বটেই সন্ধের পর দফায় দফায় লোডশেডিং হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এমনটা চলছে। চড়া রোদের জেরে দিনের বেলায় এমনতিতেই বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার ভিড় হচ্ছে না, সন্ধ্যায় লোডশেডিংয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি, জমিতে জল সেচের কাজও ঠিকঠাক ভাবে করতে পারছেন না কৃষকদের অনেকেই। তারপরেও সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তারা স্পষ্ট কিছু না জানানোয় তাঁদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কোচবিহার ডিভিশনের ম্যানেজার বিষ্ণু দত্ত অবশ্য বলেছেন, “ওভার লোডিংয়ের সমস্যার জন্য তুফানগঞ্জে কয়েক দিন থেকে সমস্যা হচ্ছে। ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা বাড়িয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা চাঙা করার চেষ্টা হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রেই জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ সাব স্টেশন আওতায় ৩টি পাওয়ার ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়। ওই সাব স্টেশনের আওতায় সেচের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ৪ হাজার কৃষকের। গত এক বছর আগেও সাব স্টেশনের আওতায় সাধারণ গ্রাহক সংখ্যা ছিল তিরিশ হাজার। সেচের জন্য গ্রাহক সংখ্যা ছিল দুই হাজার। গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ। সেচের পাশাপাশি গরম বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। বণ্টন কোম্পানির কয়েক জন আধিকারিক জানিয়েছেন, তুফানগঞ্জের সাব স্টেশনে প্রায় সাড়ে ৬ এমভিএ ক্ষমতার দুটি ও প্রায় সাড়ে ৩ এমভিএ ক্ষমতার একটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। ফলে একই সময়ে বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির জেরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিষেবা দিতে হচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার, শনিবার তো বটেই রবিবারে পরপর একাধিক বার লোডশেডিং হয়েছে। শহরের বিধানপল্লি এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কখনও দিন রাত মিলিয়ে তিন চারবার লোডশেডিং হচ্ছে। দুই ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। তুফানগঞ্জ মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক অশোক দে বলেন, “সমস্যা মেটাতে দফতরের কর্তার সঙ্গে কথা বলব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy