Advertisement
১১ মে ২০২৪

বরফের দেশে বিদ্যুতের চমক সেন্ট্রালে

মণ্ডপে যেন বরফের দেশ। তাতে, থেকে থেকে বিদ্যুৎচমকের মত আলোর বিচ্ছুরণ ঘটছে আকাশ থেকে নেমে আসা সূক্ষ্ম, তারের মাধ্যমে। দেখা যাবে রামধনুও। অবিকল বৃষ্টির পর যেমন আকাশে দেখা যায়।

মণ্ডপ গড়া চলছে।—নিজস্ব চিত্র।

মণ্ডপ গড়া চলছে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৫৮
Share: Save:

মণ্ডপে যেন বরফের দেশ। তাতে, থেকে থেকে বিদ্যুৎচমকের মত আলোর বিচ্ছুরণ ঘটছে আকাশ থেকে নেমে আসা সূক্ষ্ম, তারের মাধ্যমে। দেখা যাবে রামধনুও। অবিকল বৃষ্টির পর যেমন আকাশে দেখা যায়। দর্শকদের এমনই দৃশ্য দেখিয়ে ‘মুগ্ধ’ করতে চাইছে শিলিগুড়ির সেন্ট্রাল কলোনি দূর্গোৎসব কমিটি। নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে ইনস্টিটিউট ময়দানে ৫৩ তম বর্ষে এবারের সেন্ট্রাল কলোনির পুজোর থিম ‘সুতোর টানে বন্ধন’।

এমন নামের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। গোটা মণ্ডপকে বরফের ‘এফেক্ট’ দিতে চাইলেও তাঁর মূল উপকরণ হল উল। সাদা, লাল, কমলা, সবুজ, নীল সহ সাতটি রংয়ের উলকে কৌশলে এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে বৃষ্টির পরে বরফের উপরে আলো পড়ে বিচ্ছুরণের ছবি ফুটে ওঠে। এতদিন সেন্ট্রাল কলোনির পুজোর বৈশিষ্ট্য ছিল বহুদূর থেকে প্রমাণ সাইজের মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখা যাওয়া। এবারে ঐতিহ্য বদলে পুরোটাই ‘ইন্ডোর’ করে তৈরি করা হচ্ছে। গোটা মণ্ডপের অন্দরসজ্জায় ইতিমধ্যেই ব্যয় হয়ে গিয়েছে এক হাজার কেজি উল। আরও পাঁচশো কেজি উল প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্য জয়ন্ত দে। মণ্ডপের মাঝে মাঝে সূদৃশ্য ঝাড়বাতি, বিভিন্নরকম তারের কাজ করা হচ্ছে।

এদিন মণ্ডপের কাজ ঘুরে দেখেন পুজো কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘পুরো তৈরি হলে আবার আসব। এখানকার পুজো গত কয়েক বছরে শিলিগুড়ির অন্যতম সেরা পুজোর তকমা পেয়েছে। তাই মানুষের প্রত্যাশাও অত্যন্ত বেশি।’’ তিনি জানান টিভি তারকা মনামী, সুজাতার উপস্থিত থাকার কথা উদ্বোধনে। আরও দু’একজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা সম্মতি দিলে তাঁদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে বলে দাবি। পুজোর বাজেট প্রায় ২২ লক্ষ টাকা বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া এই পুজোর একটা বড় আকর্ষণ এখান বিশাল মাঠে মেলার আয়োজন হয়। এক সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ মেলার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। প্যাট্রনের আশা, এবারেও দর্শকেরা পুজো ও মেলা একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন।

উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মণ্ডপ সাজানোর দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতার শিল্পী তন্ময় চক্রবর্তী। গত দু’মাস ধরে তাঁর অধীনে প্রায় ৬০ জন লোক কাজ করছেন। আলোর দায়িত্বেও কলকাতা থেকে শিল্পী আনা হয়েছে। তবে মূর্তি শিলিগুড়ির কুমারটুলি থেকেই আনা হচ্ছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর ক’দিন বিভিন্ন রকম সমাজ সেবামূলক অনুষ্ঠান ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE