ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সভা করতে যাওয়ার সময় বিজেপির যুব কর্মীদের উপরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রবিবার সন্ধ্যায় পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। বিজেপির দুই কর্মী হামলায় জখম হয়েছেন বলে দাবি। জখম এক কর্মীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, জখম কর্মীর নাম সুবীর দেব। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, সোমবার শহরে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব সংগঠন। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পদক্ষেপ হবে।”
জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকতবাবুর অভিযোগ, “আজই কলকাতা থেকে ফিরেছি। শুনলাম আমাদের কয়েকজন কর্মী ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় যুব বিজেপির কয়েকজন আচমকা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় বাপি সিংহ নামে একজন জখম হয়েছেন। এলাকায় জনভিত্তি না পেয়ে বিজেপি মিথ্যের আশ্রয় নিতে চাইছে।’’
বিজেপির জেলা যুব মোর্চা সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, “সৈকতবাবু নিজে দলবল নিয়ে বিজেপি যুব মোর্চা সমর্থকদের বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। ওই ঘটনায় সুবীর দে’র নাক ফেটে যায়। ওঁকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সিটি স্ক্যান করার পরে চিকিসকদের পরামর্শ মতো ভর্তি করানো হয়।” জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, “সৈকতবাবু বিজেপি সমর্থকদের কাজ করতে দিচ্ছেন না। এদিন বুথ কমিটি গঠনের সভা ভেস্তে দিতে গুন্ডাবাহিনী নিয়ে হামলা চালানো হয়। ছেলেরা পালিয়ে না গেলে আরও অনেকে জখম হত। ঘটনার প্রতিবাদে শহরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
রবিবার রাতের ঘটনার পরে শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, “ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হতেই যা হচ্ছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। প্রতিটি দলের সভা করার অধিকার রয়েছে। সেটা নিয়ে কেন ঝামেলা হবে।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল বলেন, “কোন দলের সভা ভণ্ডুল করার ঘটনা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটা খুবই চিন্তার।” জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনার খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy