শিলিগুড়ি কিরণচন্দ্র শ্মশানের উন্নয়নে বিধায়ক তহবিলের টাকা দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ উঠেছিল তা ঠিক নয় বলে দাবি করলেন পুর কর্তৃপক্ষ। তবে শ্মশানের উন্নয়নে সম্প্রতি ১০ লক্ষ টাকা পুর কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ করেছেন বলা হলেও বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য যে টাকা দিয়েছিলেন তা তাঁরা চেপে যান বলে অভিযোগ। তবে এ দিন পুর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন রুদ্রবাবুর বিধায়ক তহবিল থেকে শ্মশানে দুটি প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তার একটির কাজ হয়ে গিয়েছে। অন্য কাজের প্রক্রিয়া চলছে।
শনিবার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ, ডেপুটি মেয়রদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তিনি অর্থ দিয়েছেন বলে তাঁকে ধন্যবাদও জানাচ্ছি। ইতিমধ্যেই সেই সব কিছু কাজ হয়েছে। বাকি কাজেরও প্রক্রিয়া চলছে। তিনি কিছু ভুল তথ্য দিয়েছিলেন সেগুলি আজ জানানো হয়েছে।’’
রুদ্রবাবু বলেন, ‘‘শাসক দলের বিধায়ক বলে টাকা খরচ করছে না পুরসভা। পরে বিধায়কের নামে বদনাম দিতে পারবেন। মেয়র ইতিমধ্যেই যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা বলতে চাননি। সেই কাজও হয়নি।’’ মেয়র অবশ্য রুদ্রবাবুর ওই কথা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ মুন্সি নুরুল ইসলামের দাবি, গত ৩০ মার্চ তিনটি কাজের জন্য ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯৮ টাকা বরাদ্দের চিঠি পুর কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলেন বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তার মধ্যে তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিকাঠামো তৈরি, হাই মাস্ট লাগানোর জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেই কাজ হয়েও গিয়েছে। রুদ্রবাবুই প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছিলেন বলে নুরুলের দাবি। তবে রুদ্রবাবু জানান, পরবর্তীতে আরও ৮টি আলো ওই মাঠে বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে সেই কাজ হয়নি। বাকি দুটির মধ্যে কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯৮ টাকা দিয়েছিলেন। সেই কাজও হয়েছে। শ্মশানে শৌচাগার সংস্কার এবং মৃতদেহ রাখার বেদী তৈরি করতে এবং দশকর্ম ভাণ্ডারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই কাজের জন্য তারা ক্ষমতায় আসার পরেই প্রক্রিয়া শুরু করেন বলে নুরুলের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘দুটি টেন্ডারে কেউ যোগ দেননি। তৃতীয় টেন্ডার একজন যোগ দেন। এ বার সেই কাজ হবে। তবে তার মধ্যে মৃতদেহ য়েখানে রাখা হবে তার উপরে কোনও শেড তৈরির কথা ছিল না। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার উপর শেড করা হবে। একটি স্নানাগার হবে।’’
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শ্মশান ঘাটের কাছে নদীতে জল না থাকায় সমস্যা হয়। সেখানে ইতস্তত কুকুর, মানুষের বিষ্ঠা ছড়িয়ে থাকে। ব্যবস্থা না থাকায় উঁচুনীচু জায়গায় শবদেহ রাখা হয়। সেখানে কুকুরের দল ঘুরে বেড়ায়। ফুল, মৃতের কাপড় যে সব ফেলা হয় তা কুকুরের দল মুখে করে ছড়ায়। পরিজনদের কাছে তা দৃষ্টিকটূ এবং স্পশর্কাতর। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আমার শহর’-এ তা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাসিন্দারাও সরব হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy