প্রতীকী ছবি।
কৃষি জমিতে ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ডুয়ার্সে। বুধবার বীরপাড়ার দেবীশিমুল গ্রামের ঘটনা।
গ্রামের বাসিন্দারা এ দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভুট্টা খেতে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখে বন বিভাগের দলগাঁও রেঞ্জে খবর দেন। খবর পেয়ে বনকর্মীরা এলাকায় ছুটে আসেন। আসেন সহকারি বনপাল শ্রী হরিশ ও রাজ্য বন্যপ্রাণ কমিটির সান্মানিক সদস্যা সীমা চৌধুরীও। এক বছরের মধ্যে এই গ্রামেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুটি হাতির মৃত্যূ হল।
এ দিন ঘটনাস্থল দেখে সহকারি বনপাল বলেন, “সব দেখে মনে হচ্ছে ভুট্টা বাঁচাতে দুই গ্রামবাসী খেতের চার দিকে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রেখেছিল।
মৃত হাতির দেহের কালো পোড়া দাগ দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুতের তারে লেগেই হাতিটি মারা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার প্রমাণ মিললে ওই দুই পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হবে।” সীমাদেবী বলেন, “জমির ফসল বাঁচাতে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রাখা বরদাস্ত করা যায় না। বন বিভাগের উচিত এই নিয়ে কড়া আইন চালু করা। অনেক সচেতনতা করার পরেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না।”
তবে জমিতে বিদ্যুতেতর তার মেলেনি।
বনকর্তাদের অনুমান, জমিতে হাতির মৃতদেহ দেখে জমির মালিকেরা তার সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু তার জড়িয়ে রাখার খুঁটি দেখা গিয়েছে। জমির মালিক রাজেন সার্কি পলাতক। অপর মালিক পদ্মা সার্কি বলেন, “কী করে হাতির দেহ আমার জমিতে এল জানি না। আমি জমিতে বিদ্যুতের
তার লাগাইনি।”
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা বিনু লামা বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে বার বার গ্রামের মানুষকে জমির চার দিকে বিদ্যুতের তার না লাগাতে সচেতন করি। তার পরেও গ্রামবাসীদের ফসল বাঁচাতে চুপিসাড়ে বিদ্যুতের তার লাগানো নিয়ে চিন্তায় আছি।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, প্রায় রোজ এই এলাকায় হাতির পাল এসে ভুট্টা-সহ নানা ফসল খেয়ে নষ্ট করে যায় বলে তিতিবিরক্ত গ্রামবাসীরা। বন দফতরে জানানো হলেও তারা হাতি তাড়াতে উদ্যোগী হয় না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy