আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় কাটছে না।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে আসেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্ত। সার্কিট হাউসে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যাবে কি না সেই প্রসঙ্গ ওঠে। বৈঠকের পরে সুনীলবাবু বলেন, “কেন্দ্র সরকারের যে বিভাগ ওই বিষয়টি দেখেন, সেগুলি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। নির্দেশ পেলেই কাজ হবে।”
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ওই কাজের জন্য কোচবিহার জেলা প্রশাসন তৈরি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সবুজ সঙ্কেত মিললেই সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কাজ শুরু করা হবে। কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভোটার তালিকায় নাম তৈরি থেকে সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির জন্য খুব বেশি সময় লাগবে না। তাঁদের দাবি, হাতে বড়জোর দিন দশেক সময় থাকলে সমস্যা হবে না। প্রশাসনের ওই কর্তারা যাই বলুন, নির্বাচন দফতরের একটি সূত্রের খবর সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাম ভোটার তালিকাভুক্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি কোন বিধানসভা এলাকার আওতাভুক্ত হবে তা চূড়ান্ত করতে হবে। নতুন এলাকা সংযোজনের জন্য সংসদের উভয়কক্ষে বিল পাশ জরুরি। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যাপারে বিল পেশ হয়নি। ফলে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন হলে আদৌ সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শুরু না হলে আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy