উত্তর দিনাজপুরের ২১টি বেসরকারি বাস লোকসভা ভোটে নিরাপত্তারক্ষী আনার কাজে লাগিয়েছিল দার্জিলিং জেলা পুলিশ ও নির্বাচন দফতর। বাস ছেড়ে দেওয়া হলেও বাসের চালক ও কনডাক্টারদের পুরো খাবারের টাকা এবং সব বাসের জ্বালানি তেল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গত ১৬ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও দার্জিলিং পুলিশে জানানো হয়। তাদের দাবি, শনিবার বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। তা না পাওয়ায় আজ, সোমবার বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।
রবিবার রায়গঞ্জের পুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে একটি বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, “২৪ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভোট। ২২ এপ্রিল থেকে জেলা পুলিশ-প্রশাসন শতাধিক বাস নেবে। ওই দিনের মধ্যে বকেয়া না মিললে ভবিষ্যতে আমরা উত্তর দিনাজপুর ছাড়া বাইরের জেলাকে নির্বাচনের কাজের জন্য বাস দেব না।” সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন দত্ত বলেন, “আজ, সোমবার লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আমাদের বক্তব্য জানাব।” উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক জেলা নির্বাচনী আধিকারিক স্মিতা পান্ডে বলেছেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে দার্জিলিং জেলা পুলিশ আর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।” দার্জিলিঙের জেলাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিক পুনীত যাদব বলেন, “এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলছি।”
উত্তর দিনাজপুরের ২১টি বাসের মধ্যে ১৫টি দার্জিলিং জেলা পুলিশ ও ৬টি জেলা নির্বাচনী দফতর নিয়েছিল। ১০-১৫ এপ্রিল নিরাপত্তারক্ষীদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়। বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক প্লাবনবাবু জানান, একটি বাসে চালক ও খালাসি মিলিয়ে তিন জন করে ছিলেন। খাবারের খরচ বাবদ তাঁদের প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে ৪৫০ টাকা করে পাওয়ার কথা। বাসগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার আগে প্রতিটি বাসে ১০০ লিটার করে ডিজেলও ভরে দেওয়ার কথা রয়েছে। ৬টি বাসে ডিজেল ভরে দেওয়া হয়নি। বাসের ১৮ জন কর্মীকে ৩ দিন খাবারের টাকা দেওয়া হয়েছে। ১৫টি বাসে ডিজেল ভরে দিলেও বাসগুলির ৪৫ জন কর্মীকে দুই দিনের খাবারের টাকা দিয়েছে। এখনও তাঁদের দু’দিনের টাকা বাকি। প্রতিদিন ১৬৬০ টাকা করে মালিকেরা ভাড়া পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy