Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ময়নাগুড়িতে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের নামে

সিপিএম সমর্থক বর্গাদারের জমি দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে গাছপালা কেটে জোর করে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে ঘাস ফুল পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

এই সেই বিতর্কিত জমি। বাকালি এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

এই সেই বিতর্কিত জমি। বাকালি এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫১
Share: Save:

সিপিএম সমর্থক বর্গাদারের জমি দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে গাছপালা কেটে জোর করে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে ঘাস ফুল পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। রবিবার ময়নাগুড়ির ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বাকালি এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে সোমবার দুপুর নাগাদ। এদিকে জমির মালিকের তরফেও পুলিশের কাছে জাল নথি দেখিয়ে জমি জবর দখলের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, স্থানীয় ভাবে আলোচনায় বসে জমি ভাগ করে দেওয়ার পরেও বর্গাদার মানেনি। বামফ্রন্ট আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিঘার পর বিঘা জমি বেআইনি ভাবে গ্রাস করেন। তিনি সাহায্যের আবেদন জানানোর পরে সোমবার তৃণমূল নেতৃত্ব কিছু জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।

ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। জমির চরিত্র জানতে সেগুলি ভূমি ও রাজস্ব দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওঁরা জানানোর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাগুড়ির ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অমিত দাস বলেন, জোর করে জমি দখল করা সম্ভব নয় অভিযোগ হাতে পেলে সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জমির বর্গাদার মহাবুল রহমান অভিযোগ করেন, তিনি ১২ বিঘা জমির বর্গাদার ওই জমি চাষ করে উপাদিত ফসলের ভাগ মালিককে বুঝিয়ে দেন এবারও ওই জমিতে পাট চাষ করেন। কিন্তু রবিবার জমির মালিক তৃণমূলের লোক সঙ্গে নিয়ে পাট খেতে ট্রাক্টর ঢুকিয়ে চাষ করে তিনি বলেন, ওঁরা ২৪টি গাছও কাটে বাঁধা দিলে হুমকি দেয় জমিতে তৃণমূলের পতাকা পুঁতে দেয়।

জমিতে ট্রাক্টর ঢোকানো এবং ঘাস ফুল পতাকা পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেননি ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর দত্ত এবং জমির মালিক ফরহাদ ও ফরমান হোসেন। শিবশঙ্কর বলেন, “বামফ্রন্টের সময় ভুয়ো নথি বার করে বাকালি এলাকার প্রচুর জমি ভুয়ো বর্গাদারের নামে বার করা হয়েছে। স্কুলের জন্য দান করা জমিও দখল হয়েছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখে জমি উদ্ধারে নেমেছি। আমরা চাই ঘটনার তদন্ত হোক।”

জমির মালিকদের অভিযোগ, বর্গাদার দীর্ঘদিন থেকে ফসলের ভাগ দিচ্ছে না। ওই কারণে গত নভেম্বর মাসে স্থানীয় ভাবে সালিসির ভিত্তিতে ১২ বিঘা জমি ভাগ করে অর্ধেক জমি বর্গাদারের নামে লিখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাকি ৬ বিঘা জমিতে তাঁরা চাষ করবেন ঠিক হয়। কিন্তু বর্গাদার ওই সিদ্ধান্ত না মেনে পুরো জমি চাষ করে। ওই কারণে তাঁরা তৃণমূলের দ্বারস্থ হন।

ফরহাদ বলেন, বামফ্রন্টের আমল থেকে আমাদের পরিবারের জমি দখল চলছে ১৯৯৪ সালে স্কুলের জন্য পরিবার থেকে ৩ বিঘা জমি দান করা হয়। রাজনৈতিক ক্ষমতা আর প্রভাব খাটিয়ে ১৯৯৫ সালে ওই জমি দখল করে নিজের নামে নকল নথি বার করেন ওই বর্গাদার। তাই নিরুপায় হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারস্থ হয়েছি। তাঁর দাবি, “সালিসিতে যে ৬ বিঘা জমি তাঁদের ভাগে পড়ে রবিবার সেখানেই তাঁরা চাষ করেন। পাশের বাকি ৬ বিঘা জমিতে তাঁরা হাত দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

land acquisition tmc moinaguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE