Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মালদহে কোতোয়ালির দিকে আক্রমণ মমতার

মালদহে গিয়ে এ বার কোতোয়ালির (গনি পরিবারের বাসভবন) দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গনি খান চৌধুরীর পরিবারের দুই সদস্য তথা মালদহের দুই বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদের নাম মুখে না আনলেও, বিঁধতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। মালদহের হবিবপুর, মালতীপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুরে তিনটি জনসভায় বলেছেন, “ওঁরা ভাবেন, মালদহের মানুষ ওঁদের ভোট দিতে বাধ্য। এ বার সব জমিদারি চলে যাবে।” দুই কংগ্রেস সাংসদ মালদহেই থাকেন না বলে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, “এই বসন্তের কোকিলদের একটিও ভোট দেবেন না।”

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৫১
Share: Save:

মালদহে গিয়ে এ বার কোতোয়ালির (গনি পরিবারের বাসভবন) দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার গনি খান চৌধুরীর পরিবারের দুই সদস্য তথা মালদহের দুই বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদের নাম মুখে না আনলেও, বিঁধতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। মালদহের হবিবপুর, মালতীপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুরে তিনটি জনসভায় বলেছেন, “ওঁরা ভাবেন, মালদহের মানুষ ওঁদের ভোট দিতে বাধ্য। এ বার সব জমিদারি চলে যাবে।” দুই কংগ্রেস সাংসদ মালদহেই থাকেন না বলে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, “এই বসন্তের কোকিলদের একটিও ভোট দেবেন না।”

ভোট-প্রচারের প্রথম পর্বে মালদহে কর্মিসভা করলেও সরাসরি গনি পরিবারকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি তৃণমূল নেত্রী। সাম্প্রতিক অতীতেও প্রয়াত গনি খান চৌধুরী বা তাঁর পরিবারের প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে শোনা যায়নি তাঁকে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় লোকসভা ভোটের প্রচারে মমতা নাম না করলেও তাঁর সমালোচনার তির গিয়েছে গনি খানের ভাগ্নি মৌসম বেনজির নূর এবং ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরীর (ডালু) দিকে। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “মালদহে দু’জন সাংসদের এত দিন দেখা মেলেনি। এখন ভোট চাইতে বেরিয়েছেন। ওঁদের জিজ্ঞাসা করুন, পাঁচ বছরে দিল্লিতে মালদহের জন্য কত বার মুখ খুলেছেন?”

তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মৌসম-ডালু। দু’জনেরই দাবি, বছরের অনেকটা সময় তাঁরা জেলায় কাটান। উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী মৌসমের বক্তব্য, “মালদহের জন্য লোকসভায় আমি কত বার মুখ খুলেছি, তা সংসদের ওয়েবসাইটেই আছে। মালদহের জন্য কী করেছি, সেটাও মালদহের মানুষ জানেন।” তাঁর পাল্টা আক্রমণ, “মালদহে বিমানবন্দর ও রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচের হাসপাতাল করতে করতে জমি চেয়েছিলাম আমরা। মুখ্যমন্ত্রীই কংগ্রেসকে হেয় করতে সে জমি দেননি।” ডালুবাবুর বক্তব্য, “এলাকার উন্নয়নের জন্য আমি যথেষ্ট সক্রিয়। তৃণমূল নেত্রী না জেনে-শুনে মন্তব্য করছেন।”

এ দিন মালতীপুর এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল নেত্রীর সভায় হাজির ছিলেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র রায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটায় মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উঠতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সভায় হাজির জনতার একাংশ চেয়ার ও জলের বোতল ছোড়াছুড়ি শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, “এ সব বন্ধ না হলে সভা না করেই আমি চলে যাব।” তার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mamata banerjee maldah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE