Advertisement
১১ মে ২০২৪

মালদহে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা-সহ ২

গুলিতে জখম হলেন তৃণমূলের যুব নেতা-সহ দু’জন। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজারের যদুপুরের কমলাবাড়িতে কালিয়াচক ১ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালায় ৬-৭ জন দুষ্কৃতী। তাদের গুলিতে জখম হন সভাপতি সফিকুল বিশ্বাস ও তাঁর ঘনিষ্ঠ, সুজাপুরেরই বাসিন্দা এসতাদুল শেখ।

জখম সফিকুল বিশ্বাস ও (ডান দিকে) এসতাদুল শেখ।—নিজস্ব চিত্র।

জখম সফিকুল বিশ্বাস ও (ডান দিকে) এসতাদুল শেখ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৫ ০২:০৬
Share: Save:

গুলিতে জখম হলেন তৃণমূলের যুব নেতা-সহ দু’জন। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজারের যদুপুরের কমলাবাড়িতে কালিয়াচক ১ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালায় ৬-৭ জন দুষ্কৃতী। তাদের গুলিতে জখম হন সভাপতি সফিকুল বিশ্বাস ও তাঁর ঘনিষ্ঠ, সুজাপুরেরই বাসিন্দা এসতাদুল শেখ। স্থানীয়েরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে মালদহের এক বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি করান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে সফিকুলের ডান হাতে এবং এসতাদুলের গলায় গুলি লাগে। ঘটনার পর থেকে ডিএসপি সিদ্ধার্থ দোরজির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক জনকে আপাতত আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

এই ঘটনার পিছনে দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সফিকুলের দাদা সোহরুল সুজাপুরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতা দখল নিয়ে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর এক নেতা রুকউদ্দিন শেখের বিবাদ চলছি। বছর খানেক আগে সোহরুলের ওপরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল রুকউদ্দিনের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ উঠেছিল সোহরুলের বিরুদ্ধেও। সোহরুলের অভিযোগ, ‘‘রুকউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে আসছেন। এ দিন, আমার ভাইয়ের উপর তাঁর দলবল হামলা চালিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাই ও এক ঘনিষ্ঠ কর্মী হাসপাতালে ভর্তি।’’ রুকউদ্দিনের পাল্টা দাবি, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের কেউ জড়িত নেই।’’ এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। ঠিক কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’’

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সফিকুলদের ইংরেজবাজার এবং কমলাবাড়ি, দু’জায়গাতেই বাড়ি রয়েছে। সফিকুলের স্ত্রী জসমিন বিবি রবিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর একটি কন্যা সন্তানও হয়। তার পর থেকেই তিনি হাসপাতালেই রয়েছেন। এ জন্য এ দিন সফিকুল হাসপাতালের কাছে কমলাবাড়ির বাড়িটিতেই থেকে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ নির্মাণ কর্মী এসতাদুল। বাড়ির মূল ফটক দিয়ে ৬-৭ জনের একটি দল অতর্কিতে গুলি চালাতে থাকে রাত পৌনে দশটা নাগাদ। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটি গেলে এক দুষ্কৃতীকে তাঁরা ধরে ফেলেন বলে পুলিশ জানায়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দিলে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE