তার কেটে সিগন্যালের সবুজ আলো লাল করে ট্রেন থামিয়ে সোনার গয়না ও নগদ টাকা লুঠের ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে রেল পুলিশ।
কালিয়াচকের সুজাপুরের বাসিন্দা ওই যুবককে আপাতত জেরা করছেন রেল পুলিশের অফিসাররা। যদিও, ট্রেনে লুঠের ঘটনার সঙ্গে যুবকের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তার কোনও প্রমাণ এখনও রেল পুলিশের হাতে আসেনি। শিলিগুড়ির রেল পুলিশ সুপার দেবাশিস সরকার বলেন, “জেলা পুলিশ, আরপিএফ সকলের সাহায্য নিয়ে অভিযান হচ্ছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই সোনা লুঠের কিনারা হয়ে যাবে।”
শনিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতাগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস মালদহ টাউন স্টেশন ছেড়ে জামিরঘাটা স্টেশনের কাছে পৌঁছতেই লাল আলো দেখে থেমে যায়। মালদহ টাউন স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠেছিলেন শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার স্বর্ণব্যবসায়ী সুনীল সরকার। ট্রেন থামতেই তাঁর গলায় রিভলভার ঠেকিয়ে তাঁঁর কাছ থেকে ২০ ভরি সোনার গয়না-সহ নগদ ২ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। লুঠের জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করে সিগন্যালের তার কেটে সবুজ আলো লাল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীর দাবি, দুষ্কৃতীরা ট্রেনের চেনও টেনেছিল। এরপরেই রেল পুলিশ সুজাপুরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করে।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার পর থেকে রেল লাইনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দিনের বেলায় জামিরঘাটা স্টেশনের আউটারের কাছে কীভাবে রেলের নজরদারি এড়িয়ে দুষ্কৃতীরা সিগন্যালের তার কেটেছিল, তা নিয়ে এখনও কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রেল কর্মীদের একাংশের সাহায্য ছাড়া এই ঘটনা সম্ভব ছিল না। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উজ্বল সাহার বক্তব্য, “রেলকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজস ছাড়া কখনই তার কেটে সবুজ সিগন্যাল লাল করতে পারত না দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনার রেলের বিভাগীয় তদন্তর দাবি করছি।” পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম রাজেশ অর্গাল বলেন, “লাইনে আরপিএফ নিয়মিত নজরদারি করে। তা এড়িয়ে কীভাবে দুষ্কৃতীরা সিগন্যালের তার কেটেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy