এলাকার আইনশৃঙ্খলা দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে চাপানউতোরে এক ট্রেন যাত্রীর সোনার গয়না লুঠের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়নি ঘটনার একদিন পরেও। ওই বিষয়ে জেলা পুলিশ ও রেল পুলিশ কর্তারা একে অপরের উপরে তদন্তের দায়ভার চাপাচ্ছেন। পুলিশের ওই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা এক ট্রেন যাত্রীকে খাওয়ার সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে তাঁর সোনার মালা ও আংটি লুঠ করে নিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। কোচবিহার-ধুবুরি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বক্সিরহাট লাগোয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। তুফানগঞ্জ স্টেশনে দুই দুষ্কৃতী ট্রেন থেকে নেমে পালাতে শুরু করে। তাঁদের পিছু নেয় ওই যাত্রীর দশ বছরের মেয়ে নন্দিতা বালা। তা দেখে আরপিএফ কর্মীরাও অভিযুক্তদের ধরতে মোটরবাইক নিয়ে পিছু নেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাউকে ধরা যায়নি। অসুস্থ ট্রেন যাত্রী প্রদীপ বালাকে আরপিএফ কর্মীরাই তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। আরপিএফের দাবি, লিখিত অভিযোগ জানাতে রাজি হননি প্রদীপবাবু। সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। যদিও বিষয়টি মৌখিক ভাবে তুফানগঞ্জ থানায় এবং নিউ কোচবিহার জিআরপিতে জানানো হয়। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ওই এলাকা জিআরপি আওতাধীন।” যদিও নিউ কোচবিহার জিআরপির পক্ষে দাবি করা হয়, তুফানগঞ্জ স্টেশন এলাকা তাঁদের আওতাধীন নয়। তুফানগঞ্জ থানা থেকেই আইনশৃঙ্খলা দেখা হয়। এর আগেও একাধিক অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানকার পুলিশ তদন্ত করে। তুফানগঞ্জ থানার এক অফিসার বলেন, “রেল পুলিশ কোনও বিষয় জানালে আমরা ব্যবস্থা নিই। এক্ষেত্রে লিখিত ভাবে থানায় কিছু জানানো হয়নি।” পুলিশ সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারের সূর্যনগরের বাসিন্দা প্রদীপ বালা স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে গৌরীপুর থেকে ওই ট্রেনে ওঠেন। অপরিচিত দুই যুবক তাঁদের সঙ্গে আলাপ জুড়ে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে সোনার হার ও আংটি লুঠ করে বলে আরপিএফের কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানান তাঁরা। কয়েকজন যাত্রী বলেন, “পুলিশ নিজস্ব উদ্যোগেও তদন্ত শুরু করে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করতে পারত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy